নেপালে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজারে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে ১১ হাজার মানুষ। একাশি বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে রাজধানী কাঠমান্ডুসহ অনেক এলাকা। ভবন ধসের সংখ্যা ৭০ হাজার।
ভূমিকম্পের ষষ্ঠ দিনেও সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে পেমা লামা নামের ১৫ বছর বয়সী এক বালক এবং কৃষ্ণা দেবী খাদকা নামে ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
হিমালয়ের এভারেস্টে আটকা পড়া ২০ পর্বতারোহীকেও পাঁচদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে হেলিকপ্টারে কাঠমান্ডু নেয়া হয়েছে। উদ্ধার পর্বতারোহীদের মধ্যে আহত শেরপাও রয়েছেন।
তবে নেপালে ভূমিকম্প হয়ে যাবার ছয়দিন পরে প্রথমবারের মতো ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে বালুয়া গ্রামে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী এবং ত্রাণ সাহায্যকারী দল। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণের আশায় দরিদ্র গ্রামবাসীরা দূর দূরান্ত থেকে হেঁটে বালুয়া গ্রামে এসেছে।
নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়ে যাবার পর পুরো বিশ্বই সাহায্যে এগিয়ে আসে। বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে ত্রাণ সাহায্য যাচ্ছে। উদ্ধারকাজেও অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী।চিকিৎসা সেবার জন্য গেছে বিভিন্ন দেশের চিকিৎসাকর্মীদের দল।
তবে ধ্বংসস্তূপের নগরী নেপালের বাসিন্দারা জানেন না কিভাবে তাদের এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। কোনো নেপালী কর্মকর্তাও জানেন না ধ্বংসপ্রাপ্ত ঐতিহাসিক স্থাপনা কবে কখন কিভাবে আবার সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে পারবেন।