সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ভেঙ্গে পড়তে পারে- বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার মধ্যে ঢাকায় বাস করেন কোটি মানুষ। আশঙ্কা থাকলেও ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকা ভবনগুলো ঝুঁকিমুক্ত করার সরকারি উদ্যোগ পথ হারিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক তৈরির কাজও থেমে গেছে প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সাথে সাথেই।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে নেপালের ভূমিকম্প বেশি নাড়া দিয়েছিল বাংলাদেশকে। চীন, ইরান বা অন্য দেশের ভূমিকম্পের ছবিও আতঙ্ক ছড়ায় রাজধানীবাসীর মনে।
২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ভোরে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকায় ৬টি ভবন হেলে পড়াসহ দেশে ৫০টির মতো ভবনে ফাটল দেখা যায়। অল্পদিনের ব্যবধানে কয়েক দফা ভূমিকম্পের ছোট ছোট ঝাঁকুনিতে ভয় ছড়িয়েছিল বাংলাদেশজুড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের নীচের প্লেটে ১২টি ফাটল আছে। যে ফাটল বড় ধরণের ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। নজির আছে একশ বছর পর পর ভূমিকম্পের।
সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯১৮ সালে। সে হিসেবে বাংলাদেশ এখন বড় ভূমিকম্প ঝুঁকিতে। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামে ভয় আরও বেশী বলে জানিয়েছে জামিলুর রেজা চৌধুরী।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্বশেষ ২০০৯ সালের জরিপ অনুযায়ী, রাজধানীর ৩ লাখ ২৬ হাজার ভবন ভূমিকম্প ঝুঁকিতে আছে। সাড়ে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার একেবারে ধসে পড়বে, অন্য ভবনগুলো কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হয় জরিপে। ভবন ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য রেকটোফিটিং এর আওয়াজ উঠলেও তা থেমে আছে বলে জানান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম
সরকার কিছু উদ্ধার সামগ্রী কিনেছে। তবে ভূমিকম্প হলে মানুষ কী করবে? কোথায়- কিভাবে আশ্রয় নেবে, গ্যাস লাইনের কী হবে? হাসপাতাল অক্ষত থাকবে কিনা, রাস্তা বন্ধ হলে উদ্ধারকর্মীরা কিভাবে পৌঁছবেন? যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই এখনও বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের অফিসসহ ঝুঁকির তালিকায় থাকা জরুরি সেবার ভবনগুলোকে বিল্ডিং কোড মেনে ঝুঁকিমুক্ত করা জরুরি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে