‘ভুল আসামি’ হয়ে টাঙ্গাইলের জাহালমকে তিন বছর কারাগারে রাখার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তবে মামলা দায়ের দুদকের নয়, ব্যাংকের উল্লেখ করে এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিষয়টি পরবর্তীতে অনুসন্ধান করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৪ সালে দুদকের করা ৩৩টি মামলায় তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয় আবু সালেক নামে এক ব্যক্তিকে। তবে এই আবু সালেকের জায়গায় তিন বছর ধরে জেল খাটছেন নিরপরাধ পাটকল শ্রমিক জাহালম।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর মঙ্গলবার এ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন দুদক চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ইতোমধ্যে ভুল ব্যক্তিকে আসামি হিসেবে তিন বছর কারাগারে রাখার ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের আইন শাখার মহাপরিচালক, মলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ চারজনকে রোববার সকালে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ভুল আসামি জাহালমকে কেন মুক্তি দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ভুল আসামি হিসেবে কারাবাস শেষ হবে জাহালমের। অন্যদিকে বর্তমানে পলাতক রয়েছে প্রকৃত আসামি আবু সালেক।