শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত হলে অবস্থান করে অহিংস আন্দোলন চলমান রাখার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার দিবাগত রাত ১১ টায় ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
প্রধান ফটক ও উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অবরোধ তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে ক্যাম্পাসে আন্দোলন এখন থেকে চলবে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই হলের কয়েক’শ ছাত্রী।
সেই আন্দোলনের এক পর্যায়ে জাফরিন আহমেদ পদত্যাগ করেন। এর মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে। নতুন দাবি যুক্ত করে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষার্থী।
এরই মধ্যে গত ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে আইআইসিটি ভবন থেকে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনার পর অজ্ঞাত কয়েক’শ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। সেই মামলা প্রত্যাহার এবং উপাচার্যের পদত্যাগের নতুন দাবিতে গত বুধবার ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৭ দিন আমরণ আন্দোলন অব্যাহত রাখেন ২৮ জন শিক্ষার্থী।
গতকাল বুধবারে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবালের অনুরোধে সাত দিন পর অনশন ভাঙেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপরই তারা অহিংস আন্দোলনের ঘোষণা দেন।