এবি ডি ভিলিয়ার্স দলে যোগ দেয়ার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল রংপুর রাইডার্স। প্রোটিয়া তারকার বাতাস পেয়ে সিলেট সিক্সার্সের দেয়া ১৯৫ রানে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল রংপুর। ভিলিয়ার্সের প্রভাব আরও বেশি পড়ল খুলনা টাইটানস ম্যাচে। তার সঙ্গে হেলস-গেইল ঝড়ে ১৮২ রানে টার্গেট হেলায় টপকে রংপুর ৬ উইকেটে হারাল মাহমুদউল্লাহদের।
আট ম্যাচে রংপুরের এটি চতুর্থ জয়। আছে টেবিলের তিনে। আর আট ম্যাচে সপ্তম হারে তলানিতে খুলনা।
১৮২, টার্গেটটা বেশ চ্যালেঞ্জিংই। তাই কিনা শুরু থেকে ব্যাট চালালেন অ্যালেক্স হেলস। ব্যাট চালানোর চাপ ছিল তার নিজের কারণেও। আগের চার ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৪৮ রান। যার মধ্যে আবার দুটিতে শূন্য। ফলে পরের তিন ম্যাচে জায়গা পাননি। এদিন সুযোগ পেয়ে কাজে লাগালেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
ক্রিস গেইলের সঙ্গে সাড়ে সাত ওভারে ৭৮ রানের জুটি গড়ে যখন আউট হন, তখন হেলসের নামের পাশে ৫৫ রান। সেটা আবার ২৯ বল খেলে। ২৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে এবার বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলা পাকিস্তানি স্পিনার ইয়াসির শাহ’র শিকার হন তিনি। আট চার ও তিন ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস।
আগের পাঁচ ম্যাচে মোট ৩৯ রান করেছেন ক্রিস গেইল। তাই কিনা এ ম্যাচে শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ক্যারিবীয় ‘দানব’। হেলস যখন একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। অপরপ্রান্তে তিনি অনেকটা নীরব।
হেলস ফেরার পর ক্রিজে আসেন ডি ভিলিয়ার্স। বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে চারনম্বরে ব্যাটে নেমেছিলেন এবি। এদিন আরও একধাপ প্রমোশন নিয়ে নামেন তিনে। আগে ম্যাচে ২১ বলে করেছিলেন ৩৪ রান। এদিন খেলেন ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংস। তিনটি চার ও চারটি ছক্কা মারার পর মাহমুদউল্লাহ বলে এলবিডব্লিউ হন প্রোটিয়া সুপারস্টার।
শুরুতে ধীরগতিতে হলেও ম্যাচের অবস্থা বুঝে খোলসমুক্ত হতে থাকেন গেইল। একসময় ২৯ বলে ২৯ রানে ছিলেন। পরে পাঁচ বলে ২৫ রান নিয়ে ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৫৫ রান করে আউট হন। তার ইনিংসে ছিল পাঁচটি ছক্কা ও দুটি চারের মার। জুনায়েদ খানের বলে সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন ডেভিড ওয়াইজ।
শেষ দুই ওভারে রংপুরের দরকার হয় ১৩। ওই ওভারেই চতুর্থ বলে আউট হন গেইল। শেষ ওভারে লাগত ৬ রান। প্রথম বলে আউট হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। ইয়াসির শাহ’র বলে দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিং করেন ব্রেন্ডন টেলর। তারপরও জিততে সমস্যা হয়নি রংপুরের। কারণ ক্রিজে ছিলেন দলের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। তিন বল বাকি থাকতে ছক্কা মেরেই খেলা শেষ করেন প্রোটিয়া এ ব্যাটসম্যান।
ইয়াসির শাহ’র দুই উইকেটের সঙ্গে খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ ও জুনায়েদ খান।