ইউক্রেন নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নয়, আগামী মঙ্গলবার এই দুই নেতার কথা হবে ভিডিও কলে।
হোয়াইট হাউসের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি ।
এর আগে জেনেভায় এই দুই নেতার মধ্যকার প্রথম ও একমাত্র সাক্ষাৎ ঘটেছিল গত জুন মাসে।
শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা জানাবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। পাশাপাশি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের দিকটি নিয়েও আলোচনা করা হবে।
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমনের বড় ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ প্রত্যাখান করে ইউক্রেনকে দোষারোপ করছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া বিপুল সংখ্যক সামরিক সমাবেশ ঘটাচ্ছে সীমান্তে। উন্নত যুদ্ধাস্ত্র ও সাঁজোয়া যানসহ সীমান্তে জড়ো করা হচ্ছে তাদের।
গোয়েন্দা রিপোর্টের বরাত দিয়ে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়েকসি রেজনিকভ বলেছেন, রাশিয়া জানুয়ারির শেষে সামরিক হামলার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।
বিবিসির জানায়, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উদ্ধুত পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।
এই ইস্যুতে শুক্রবার বাইডেন হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পুতিনের জন্য এটি জটিলতর হবে।
সীমান্তে সেনা জমায়েতের বিষয়ে রাশিয়া জানায়, সেনা সদস্যরা সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য অবস্থান করছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নতুন নয়। ২০১৪ সালের অভিযানে ক্রিমিয়া দখল নেয় রাশিয়া। দেশটির বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে মদদ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে।