বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই আলোচনায় ছিল ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি সিস্টেম (ভিএআর)। খেলায় পরিছন্নতা আনতেই চালু করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। এ নিয়ে সমালোচনাও অবশ্য কম হয়নি। প্রযুক্তি ব্যবহারে ফুবটলের সৌন্দর্য নষ্টের অভিযোগও উঠেছে।
তবে ফিফার পরিসংখ্যান বলছে ভিএআর প্রযুক্তির সফলতার কথা। সংস্থার দাবি, বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ভিএআরে দেয়া সিদ্ধান্তের ৯৯.৩ শতাংই ঠিক।
বিশ্বকাপে দারুণ প্রভাব ফেলেছে ভিএআর। প্রথম রাউন্ডে ভিএআর ব্যবহারে সাতটি পেনাল্টি পায় বিভিন্ন দল। অফসাইডের কারণে বাদ হওয়া দুটি গোলও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার রেফারির দেয়া পেনাল্টিও ভিএআর ব্যবহার করে বাতিল করা হয়েছে (কোস্টারিকা ম্যাচে নেইমারের পেনাল্টি) ।
ফিফার রেফারি কমিটিরি প্রধান পিয়েরলুইজি কোলিনা বলেছেন, ম্যাচের গতি-প্রকৃতি পাল্টে দেয়া ভিএআর প্রযুক্তির সিদ্ধান্ত ৯৯.৩% ঠিক। এই প্রযুক্তি না হলে ঠিক সিদ্ধান্তের পরিসংখ্যান হয়ত ৯৫% বেশি হত না।
প্রথম রাউন্ড পর্যন্ত ৩৩৫টি ঘটনা রিভিউ করেছে ভিএআর। ম্যাচ প্রতি গড় ৬.৯টি। মাত্র ১৭টি নিয়ে বিভিন্ন দল সমর্থকদের সন্দেহ রয়েছে। এই ১৭টির মধ্য ১৪টির সিদ্ধান্ত বদল এবং তিনটি সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।