ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর সড়ক ও নৌপথে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য কম হয়নি। এর জেরে ইতোমধ্যে বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। তবে এরমধ্যে সুখবর হলো- রেলপথে এখনও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। নিকট ভবিষ্যতে ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এখন পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি। এমন যদি হত তেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছি, তাহলে হয়ত ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টা চিন্তা করতাম। ডিজেলের দাম সরকার লিটারে ১৫ টাকা করে বাড়িয়েছে। ফলে রেল পরিচালনায় সরকারের ভর্তুকি বাড়বে।
তিনি বলেন, জনগণ বা সরকারের ভর্তুকির মাধ্যমেই ট্রেন চলছে। রেলওয়েকে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। ১০ টাকার জায়গায় হয়ত এখন ১২ টাকা ভর্তুকি দেওয়া লাগবে। যে কারণে আমাদের দিক থেকে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি।’
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণায় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। তবে এই স্বস্তি ম্রিয়মান হওয়ার খবরও এসেছে। চট্টগ্রামে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে যাত্রীকে বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগে এক চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডিজেলের দামের পর বাসে ভাড়া যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তার চেয়ে বাড়তি নেয়ায় কথা কাটাকাটির জেরে পরিবহনকর্মী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঢাকায়ও সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই অনুপাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
তবে ব্যবস্থা যে একেবারেই নেই তা নয়। ঢাকায় একাধিক ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগে। অরাজকতার তুলনায় ব্যবস্থা গ্রহণের মাত্রা অপ্রতুল। আর সিটিং সার্ভিসের নামে গাদাগাদি করে লোক নিয়েও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এজন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়ার মতো ধৃষ্টতার ঘটনাও ঘটছে।
এমন নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানাচ্ছি।