গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে ভাড়াটিয়া খুনিরাই হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তেব্যে নিহত লিটনের বড় বোন আফরুজা বারি বলেন, এটা ভাড়াটিয়া খুনী দ্বারা সংঘটিত পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে রয়েছে মদতদাতা, পৃষ্ঠপোষক, পরিকল্পনাকারী অর্থের যোগানদাতা এব সর্বশেষ হত্যাকারীরা।
“এরা হতে পারে কোন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান দল বা কোন আদর্শিক অপশক্তি। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগে ও পরে কিছু প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।”
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘নিজ বাড়ীতে মানুষ সবচেয়ে নিরাপদ, খুনীরা সেই নিরাপদ জায়গাটিকে খুনের জন্য বেছে নিয়েছিল কেন? খুনীরা পরিচয় না দিয়ে নিবিঘ্নে বৈঠকখানায় ঢুকে গেল। লিটনের অতন্ত্র প্রহরী হিসেব পরিচিত তার পালিত কুকুর ২টি তখন কোথায় ছিল? গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এমপি লিটন প্রায় ১ ঘণ্টা সচেতন ও সজ্ঞানে বেঁচে ছিলেন। সে সময় কেন খুনীদের পরিচয় নেয়া হলো না। এছাড়া পরপর ৫টি গুলি ছোঁড়া হলেও তাকে বাঁচানোর জন্য কেন কেউ এগিয়ে এলো না প্রশাসন সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।’
“এমপি লিটন আওয়ামী লীগের এক অকুতভয় সৈনিক ছিলেন। সে সুন্দরগঞ্জের এলাকার সততা নিষ্ঠার ঝান্ডা উড়িয়ে ছিলেন। তার নানা উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তারাই ভাড়াটিয়া খুনী দিয়ে এমপি লিটনকে খুন করেছে।”
২৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এই নৃশংস খুনীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমপির ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকুলী, চাচাতো ভাই তৌফিকুল ইসলাম মুকুটসহ অন্যরা।