চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও ২০১৮ সাল থেকে প্রায় তিন বছর কারাভোগ করে আসা সেই মিনু আক্তার অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ (বুধবার) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি শেষে মিনু আক্তারকে মুক্তির আদেশ দেন। সেইসাথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত আসামী কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়।
মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, ২০০৬ সালে জুলাই মাসে নগরীর কোতয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জ এলাকার একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী কোহিনূর আক্তার পারভিনকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহটি গাছের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রেখে পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করে কুলসুমা আক্তার কুলসুমী।
পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্ত শেষে পারভিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে প্রধান আসামী করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরে আদালত এ হত্যা মামলায় কুলসুম আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। তবে সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তারের বদলে ২০১৮ সালে মিনু আক্তার নামে একজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মিনুর ক্ষতিপূরণের দাবী জানিয়ে আইজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ, যাদের গাফিলতির কারণে মিনুর এ অবস্থা হয়েছে এবং যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণেরও অনুরোধ জানান।
মিনুর ভাই জানান, যাকাত দেয়ার নাম করে মিথ্যা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তার বোনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। গতবছর মিনুর একটি সন্তান মারা যাওয়ার খবরটিও সে জানে না। মিনু এখন মানসিক এবং আর্থিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত।