চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভার্চুয়ালের পাশাপাশি বুধবার থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে হাইকোর্ট চলবে

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুকির মধ্যেই অবশেষে আগামি বুধবার থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ৩৫টি বেঞ্চের পাশাপাশি ১৮ টি হাইকোর্ট বেঞ্চে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলবে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন সোমবার ৩৫ টি ভার্চুয়াল ও ১৮টি শশরীরি হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চের মধ্যে ২৪টি দ্বৈত ও ১১টি একক বেঞ্চ রয়েছে। আর ১৮টি শশরীরি বেঞ্চের মধ্যে ১৩টি দ্বৈত ও ৫টি একক বেঞ্চ রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত দুটি বিজ্ঞপ্তিতে বেঞ্চ গঠনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ৬ আগস্ট প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের উপস্থিতিতে এক ভার্চুয়াল ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভার সিদ্ধান্তের পর আজ ভার্চুয়াল ও শশরীরি হাইকোর্ট বেঞ্চ পরিচালনার নির্দেশনা এলো। এর আগে গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সকল অধস্তন আদালতসমুহে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে আদালত পরিচালনা বন্ধ হয়ে গেলে অনেক আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সোচ্চার হন। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত ‘ফুল কোর্ট সভা’ থেকে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ জারির জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সেই প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল উপস্থিতিকে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিতি হিসেবে গণ্য করে “আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ- ২০২০” নামে গত ৯ মে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন (বর্তমানে যেটি আইন) রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।

এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে গত ১০ মে ভার্চুয়াল আদালত সংক্রান্ত কয়েকটি নির্দেশনা জারি করা হয়। যেখানে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ এবং অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের জন্য আলাদা আলাদা ‘প্র্যাকটিস নির্দেশনা’ দেয়া হয়। এছাড়া আইনজীবীদের জন্য প্রকাশ করা হয় ‘ভার্চুয়াল কোর্টরুম ম্যানুয়াল’।

এরই ধারাবাহিতায় গত ১১ মে থেকে দেশে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথমে দেশের অধস্তন আদালত, এরপর হাইকোর্ট এবং পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত ও আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম চলতে থাকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।