ভারী বাতাস। বৈরি কন্ডিশন। সঙ্গে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের দুর্দান্ত ক্রিকেটাররা তো আছেনই। মাঠের খেলায় জিততে হলে আগে জয় করতে হবে আবহাওয়া-কন্ডিশনকেও। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে সেই কথাটাই বলে গেলেন আবু জায়েদ রাহী। বাংলাদেশি পেসারের কণ্ঠে মিশে থাকল কিউইদের বৈরি কন্ডিশনে চ্যালেঞ্জ জয়ের প্রত্যয়ও।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে নামার আগে কেবল একটাই প্রস্তুতি ম্যাচ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেটাও দুদিনের। ২৩ ফেব্রুয়ারি লিংকনে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি টাইগারদের জন্য যতটা না ব্যাটে-বলের, তার চেয়ে বেশি কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ।
ফেব্রুয়ারি মাসে লিংকনের গড় তাপমাত্রা ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে নিয়মিতই। আদ্রতা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশের কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা তুলনামূলক বেশিই। কেবল লিংকনেই নয়, পুরো নিউজিল্যান্ডের বর্তমান আবহাওয়াই এখন এমন। আগে থেকে পরিচয় না থাকলে উপমহাদেশের ক্রিকেটারদের এখানে খেলা মানে অথৈ জলে হাবুডুবু খাওয়ার মতো!
সেই নিউজিল্যান্ডে খেলতে খালিদ আহমেদ, এবাদত হোসেনদের মতো নতুন বোলারদের দলে রেখেছে বাংলাদেশ। রাহী নিজেও খুব একটা পরিচিত নন এমন কন্ডিশনের সঙ্গে। তাই ওশেনীয় অঞ্চলের পরিবেশে মানিয়ে নিতে জোর চেষ্টা সফরকারীদের।
‘এখানকার বাতাস অনেক ভারী। প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা এটা নিয়েই কাজ করবো। আজকেও বল করতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ বাতাসের জন্য বল এদিক-ওদিক চলে যাচ্ছে। সুতরাং প্রস্তুতির অভিজ্ঞতাটা আমাদের অনেক জরুরী, যাতে নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে পারি।’ শুক্রবার নিজেদের চ্যালেঞ্জটা এভাবেই জানিয়ে গেলেন রাহী।
পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের ফর্মটাও এখন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। সেই তিন ম্যাচে কেবল আটবার স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের আউট করতে পেরেছেন টাইগার বোলাররা। সাদা পোশাকে ভালো করতে হলে যে শুরুতে উইকেট তুলে নিতে হবে, সেটা ভালোই উপলব্ধি করতে পারছেন পেসার রাহী।
‘টেস্ট ক্রিকেটে শুরুতেই ব্রেক-থ্রুটা খুব জরুরী। তাই পেসারদের প্রথম কাজই হবে সময় সময় উইকেট তুলে নেয়া।’
‘আমরা ৮ দিন আগে এসেছি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হল ২০ উইকেট তুলে নেয়া। জিততে হলে ২০ উইকেট নিতেই হবে। আমরা অনেকদিন আগেই এসেছি। মনে হচ্ছে আমরা মানিয়ে নিতে পেরেছি।’