প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবী দূর্গাকে নিয়ে ৫ দিনের উৎসব-আনন্দ শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ভারাক্রান্ত ছিলো ভক্তদের মন। তবে হাসিমুখে প্রতিমাকে বিসর্জন দিতে পেরে খুশি দেবী দুর্গার ভক্তরা।
দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দিতে হবে বলে যতটুকু সময় কাছে পাওয়া যায়, সেই সময়টুকুতেই দেবী দুর্গাকে খুশি করতে ব্যস্ত ছিলেন ভক্তরা। নাচে-গানে আর ঢাক-ঢোলে মুখরিত ছিলো মন্ডপগুলো। এর আগে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। তবে দেবী দুর্গাকে পেয়ে খুশি ভক্তরা।
বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা বের হয়। রাস্তার দু’পাশে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় সদরঘাটের দিকে এগিয়ে যায় শোভাযাত্রা। প্রতিমা বিসর্জনে যাওয়ার পথেও মাকে খুশি করতে নাচে-গানে মুখরিত ছিলো ভক্তরা।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি জানান, বিভিন্ন ঘাটে রাজধানীর ২২৫টি মণ্ডপের প্রতিমা একে একে বিসর্জন দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিরা জানান, মূলত ‘দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে আগের দিনই দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে প্রতিমা থেকে ঘটে এবং ঘট থেকে আবার ভক্তের হৃদয়ে মাকে নিয়ে আসাকে বিসর্জন বলে।
মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
পরে সদরঘাটে একে একে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এবার দেবী দুর্গা মর্তে এসেছিলেন ঘোটকে করে, আর বিদায় নিলেন দোলায় অর্থাৎ পালকিতে করে।