পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘পাকিস্তানের প্রতি ইঞ্চি রক্ষা’ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সেনা প্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। জম্মু-কাশ্মিরে সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের ইন্ধন আছে দাবি করে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জবাবে পাকিস্তানও সেনাদের রেখেছে সর্বোচ্চ অবস্থায়।
এখানেই থেমে নেই পাকিস্তান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র খবর অনুযায়ী মরিয়া পাকিস্তান যুদ্ধ বিমান নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। এমনকি মহাসড়ক বন্ধ করে সড়কেই যুদ্ধ বিমান অবতরণের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে দেশটি।
তবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে না জানিয়ে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর মুখপাত্র জানান, ‘কয়েক বছর ধরেই এই প্রশিক্ষণ হচ্ছে। এটা নতুন কোনো কিছু নয়’।
দু’দেশের এইরকম যুদ্ধসাজ এবং কাশ্মির সীমানায় সৈন্য বৃদ্ধিতে থমথমে জনপদে পরিণত হয়েছে ভূ-স্বর্গ কাশ্মির। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন যাচ্ছে সীমান্তবর্তী উরি এলাকার বাসিন্দাদের।
উরি’র বাসিন্দারা জানায়, পাকিস্তান থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে বাস করে তারা। রাত্রে ঘুমের মধ্যেও গুলির শব্দ শুনতে হচ্ছে। এতে চরম উৎকণ্ঠিত তারা। কখন কী হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এমনকি শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে আবার জীবিত ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় সবাই।
এক জঙ্গিকে হত্যার পরই উত্তেজনা বাড়তে থাকা এই অঞ্চলে ভারতের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা এবং তাতে পাকিস্তানের মদদের ভারতীয় দাবি সংকট বাড়িয়েছে আরও।