ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের জন্য এই চাল কিনবে সরকার।
অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৪তম বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনলাইনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে মোট ১৪টি ক্রয় প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে এর মধ্যে ১০ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্যাকেজ ২ এর আওতায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবে সায় দেয়া হয়েছে। এর সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের মুম্বাইয়ে এম এস রিকা গ্লোবাল ইমপ্যাক্টস লিমিটেড।
২ কোটি ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ ডলার বা ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় এ চাল কেনা হচ্ছে। তবে দেশের বন্দর পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিকেজি চালে খরচ পড়বে ৩৪ টাকা ২৮ পয়সা। প্রতি টনে ক্রয়মূল্যে দাঁড়াবে ৪০৪ দশমিক ৩৫ ডলার।
এর আগেও গত ৩৩তম ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ১৭৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছিলো কমিটি। তখন প্রতি কেজি চালের দাম ৩৫ টাকা ২৭ পয়সা পড়বে বলে জানানো হয়েছিল। আর প্রতি টনে ক্রয়মূল্যে ৪১৬ ডলার পড়বে বলে জানানো হয়। এর সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের এম এস পি কে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড।
আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল আরও জানান, চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে কাতার কেমিকেল অ্যান্ড পেট্রোকেমিকেল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনটাজাত) থেকে অষ্টম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ৫৬ কোটি ছয় লাখ ৭০ হাজার টাকায় সার আনা হবে।
এছাড়া চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (এসএবিআইসি) থেকে নবম লটে ২৫ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন প্রস্তাবে সায় দেয়া হয়। ৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় এ সার আনা হবে।