চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতে ৯ হাজার মানুষ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে’ আক্রান্ত

ভারত জুড়ে এখন পর্যন্ত প্রায় নয় হাজার মানুষ মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিবিসি।

এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, ভারতের কেন্দ্র সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা কালো ছত্রাকের সংক্রমণকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করে সব রাজ্যকে সতর্ক করে দিয়েছে।

ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর দেশটিতে আরও বিপজ্জনক হোয়াইট ফাঙ্গাস বা সাদা ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

ভারতের কেন্দ্রীয় সার ও রসায়নিক বিষয়ক মন্ত্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া শনিবার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সারা দেশে এই মুহূর্তে মোট ৮ হাজার ৮৪৮ জন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ বিবেচনায় রাজ্যগুলোকে এর ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মোট আক্রান্তের মধ্যে গুজরাটে ২২৮১ মহারাষ্ট্রে ২০০০ ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৯১০ জন রোগীর শরীরে এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে; যা দেশে মোট সংক্রমণের ৫৮.৬৬ শতাংশ।

রোগটি মূলত করোনা রোগীদের মধ্যে ছড়াচ্ছে। অতিরিক্ত স্টেরয়েড নেওয়া, বেশি দিন হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা অথবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের এই ছত্রাকের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর উৎস শাকসবজি, মাটি, ফল ও একই মাস্ক প্রতিদিন পরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কোভিডের মতো এটি সংক্রামক নয়। সাধারণত আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, নাক-চোখ লাল হওয়া, দৃষ্টি কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও রক্তবমির মতো উপসর্গগুলো দেখা যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্য সরকারগুলোকে জানিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বিশেষত, করোনার সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষ, যারা স্টেরয়েড থেরাপি নিচ্ছেন ও যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তারা এ সংক্রমণে বেশি ভুগছেন।

কেন্দ্র সরকার মহামারি ঘোষণার ফলে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজকে মিউকরমাইকোসিসের শনাক্তকরণ, নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাজ্যগুলোকে দেওয়া চিঠিতে নির্দেশ দিয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি পেতেও শুরু হয়েছে হাহাকার। ইতোমধ্যে এই অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি ওষুধ তৈরির জন্য পাঁচটি কোম্পানিকে নতুন করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।