ভারতের উত্তর প্রদেশের উত্তরাঞ্চলে কানপুরে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে শতাধিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২শ’রও বেশি। এদের মধ্যে ৭৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনাই ঘটেছে দু’টি বগিতে। সেগুলো একেবারেই দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ৩টার একটু পরই কানপুর শহরের কাছে ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় বেশিরভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে ছিল।
নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। আহতদের উদ্ধারে ওই এলাকায় উদ্ধারকারী দল এবং মেডিকেল টিম উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। নর্দার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখপাত্র বিজয় কুমার জানান, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ডাক্তারসহ মেডিক্যাল টিম এবং উদ্ধারকারী দলসহ সিনিয়র লেওয়ে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
দায়িত্বরত সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা দলিজিৎ সিং চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বর্তমানে খুব নাজুক। অনেক যাত্রী বিধ্বস্ত ট্রেনের বগিগুলোর ভেতরে আটকে আছে। তাদের উদ্ধার করতে গ্যাস কাটারসহ বিভিন্ন ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেক নিহতের পরিবারের জন্য ২ লাখ এবং প্রত্যেক গুরুতর আহতের জন্য ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে সকালে দুর্ঘটনায় ‘ভাষায় প্রকাশের উর্ধ্বে’, এমন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ঘটনার বিস্তারিত খেয়াল রাখা রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে এক টুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছেন। দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন মোদি।
অন্যদিকে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুও টুইটারে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোরতম শাস্তি দেয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মুখপাত্র অনীল সাক্সেনা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কানপুর রেলওয়ে জংশন দিয়ে কয়েকশ’ ট্রেন যাওয়া আসা করে। এত বড় একটি দুর্ঘটনার কারণেও যেন অন্যান্য ট্রেনযাত্রার সময়সূচি ব্যহত না হয় সেজন্য বাকি ট্রেনগুলোকে অন্যান্য রুট দিয়ে কানপুর পার করে দেয়া হচ্ছে।