ভারতে চলন্ত ট্রেনে বাংলাদেশী নারী নার্গিস আক্তারকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় ওই নারীর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ১৬ জুনের মধ্যে দিতে সরকারকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভারত সরকার লাশ হস্তান্তর করার সময় যেসব নথি দিয়েছিল, তা-ও জমা দিতে বলেছেন আদালত।
খুলনার সোনাডাঙ্গায় থাকতেন নার্গিস আক্তার এবং পরিবারের দুই সদস্য। দৃষ্টিশক্তিহীন মা আনোয়ারা বেগম ও ১০ বছরের মেয়ে কোহিনূর। নার্গিস আক্তারের সেলাই থেকে আসা আয় দিয়ে চলতো সংসার। বেড়ানো আর চিকিৎসার জন্য মা ও মেয়েকে নিয়ে ভারত গিয়ে গত ১০ মার্চ হাওড়া স্টেশন থেকে দিল্লির ট্রেনে ওঠেন নার্গিস আক্তার।
পথেই কে বা কারা নার্গিসকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করে। পরে উত্তর প্রদেশের এক ট্রেনে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ভারতের কাছ থেকে মরদেহ পাওয়ার পর পরিবারকে কিছুই না জানিয়ে শুধু লাশ দাফন করতে বলে খুলনার সোনাডাঙ্গা পুলিশ। বসুপাড়া কবরস্থানে দাফনের পর কিভাবে তিনি মারা গেলেন সেটা জানতেই ২০ মে নিহতের মামি রাহেলা বেগম রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আইনজীবী জানিয়েছেন, এ আবেদনে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র সচিব, খুলনার জেলা প্রশাসক এবং খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।