‘গরু যেমন অক্সিজেন গ্রহণ করে, তেমনই অক্সিজেন ছাড়েও। আমাদের বাঁচার রসদ দেয় বলেই তাকে মায়ের স্থান দেয়া হয়েছে। গোটা শরীরের জন্য গোবর ও গোমূত্র খুবই উপকারী। হার্ট-কিডনির রোগ নিরাময়ে তা সাহায্য করে। গরুর কাছাকাছি থাকলে যক্ষ্মা রোগ সেরে যায়।’ এমন মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ভারতের উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
তবে এ মন্তব্যই প্রথম নয়, গরু নিয়ে মন্তব্য করে আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি বলেছিলেন: আমি নিজে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলাম। গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য (গোবর, গোমূত্র ও দুধ থেকে প্রস্তুতকৃত এক ধরনের খাবার) গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছি। এটা সত্যিই কার্যকরী এবং আমি নিজেই তার উদাহরণ।
তিনি আরও দাবি করেছিলেন: শুধু গাভীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিলেই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যদি আপনি গাভীর পেছন থেকে গলার দিকে হাত বুলিয়ে দেন, তাহলে গোমাতা খুশি হন। আর এটা নিয়মিত করতে থাকলে আপনার ব্লাড প্রেসারও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এরকম নানা কথা আর প্রচারণায় ভারতজুড়ে গরু ও গোমূত্র বিরাট বিশ্বাস আর বিতর্কের বিষয়। ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে গোমূত্রের পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানামত। তবে বাংলাদেশে গরু ও গোমূত্র নিয়ে কোনো বিতর্ক বা অন্ধ বিশ্বাস না থাকলেও গরুর দুধ নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, আছে উদ্বেগ।
বাংলাদেশের সামাজিক ও গ্রামীণ অর্থনীতির আলোকে গবাদি প্রাণির মধ্যে উল্লেখযোগ্য গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া। এগুলো দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, কারণ এসব প্রাণি কৃষি কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজে চালিকা শক্তি, চামড়া ও সারের যোগান দেয়ার পাশাপাশি জনসংখ্যার একটা বড় অংশের জন্য মাংস ও দুধের প্রধান উৎস। এসব প্রাণি বিশেষ করে গরুকে ঘিরে গ্রামীণ জনপদে রয়েছে নানা আবেগ।
দুধে ক্ষতিকর উপাদান
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম ফারুক দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির দুধ নিয়ে দুই দফা পরীক্ষা ও এর ফলাফল প্রকাশের পরে দেশজুড়ে রীতিমতো তৈরি হয়েছে আলোড়ন।
অধ্যাপক ফারুকের কয়েক দফা পরীক্ষায় দেখা গেছে, দুধে রয়েছে নানারকম এন্টিবায়োটিক (টেট্রাসাইসিলিন, ক্লোরটেট্রাসাইসিলিন, অক্সিটেট্রাসাইসিলিন, এপিটেট্রাসাইসিলিন, এপিঅক্সিটেট্রাসাইসিলিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, ক্লোরামফেনিকল ও স্ট্রেপটোমাইসিন) ও ক্ষতিকর কিছু উপাদান।
এরপর থেকে বিষয়টি ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। অধ্যাপক ফারুককে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে শুরু করে নানা কটূক্তি করতে থাকে দুধ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অধ্যাপক ফারুকের পক্ষে অবস্থান নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, তারা বিবৃতি-মানববন্ধন পর্যন্ত করে। সামাজিক মাধ্যমে চলতে থাকে নানা হিসেব-নিকেষ ও উদ্বেগের ঝড়।
অতীতে একইরকম পরীক্ষা
অধ্যাপক ফারুকের পরীক্ষার মতো অতীতেও দুধ নিয়ে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা হয়েছে। যেখানে প্রায় একইরকম ফলাফলা পাওয়া গেছে। ২০১৪ সালে জুন মাসে সরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, গরু ও মহিষের মাংস এবং দুধের মধ্যে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ও ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। ফলাফল অনুসারে, বাজারে প্রাপ্ত দুধে ভারী ধাতু- যেমন: সিসা ও ক্যাডমিয়াম পাওয়া যায়, আর প্যাকেটজাত দুধের চেয়ে খোলা দুধের মধ্যে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়।
এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) প্রধান অধ্যাপক শাহনীলা ফেরদৌসীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং ডাচদের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় এক গবেষণা সম্পন্ন হয়। ঢাকাসহ চারটি জেলার ২৭টি উপজেলা বা থানা থেকে সংগ্রহ করা নমুনার ভিত্তিতে গবেষণা করা হয়। গরুর দুধ, প্যাকেটজাত দুধ, দই ও গোখাদ্যের উপরে ওই গবেষণা চালানো হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৯-১০০ শতাংশ গোখাদ্যে কীটনাশক, সিসা ও আফলাটক্সিন গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রা পাওয়া যায়। গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন এবং ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে মেলে বিভিন্ন ক্ষতিকর অণুজীব। সেসময় জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সামনেই ওই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়।
দুধ বৃদ্ধি ও রোগবালাই দমনে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈজ্ঞানিকভাবে বিভিন্ন ওষুধ গবাদি পশুকে খাওয়ানো এবং পরিষ্কার পরিছন্নতাসহ নানা কারণে ওইসব ক্ষতিকর উপাদান দুধ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এসবের কারণ হিসেবে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ না করে সংরক্ষণ, প্যাকেটজাত, পরিবহনসহ নানা পর্যায়ে ঘাটতিকে দায়ী করে বিশেষজ্ঞরা ওইসব প্রতিবেদনের পরে মতামত দেন। বিষয়টি সেসময় আদালতের নজরে আসলে রিট পর্যন্ত হয়।
অতীতের এসব পরীক্ষা ও সম্প্রতি অধ্যাপক ফারুকের পরীক্ষার সঙ্গে মিল রয়েছে অনেকটাই। আরেকটি বিষয় লক্ষ করা যেতে পারে, বিষয়গুলো শুধুমাত্র পরীক্ষা আর ফল প্রকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে, অবস্থা পরিবর্তনে কোনো কার্যকর পরিকল্পনা অতীতেও নেয়া হয়নি বর্তমানেও না।
আদালতের হস্তক্ষেপ
দুধে মানুষের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে বলে জানানোর পর হাইকোর্ট ১৪টি কোম্পানির পাস্তুরিত তরল দুধের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি পাঁচ সপ্তাহের জন্য বন্ধের নির্দেশ দেন। আদেশটি আসে ২৮ জুলাই। ১৪ জুলাই চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিএসটিআইয়ের সনদধারী সব কোম্পানির দুধের মান যাচাই করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে। এই চার ল্যাব হলো ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, আইসিডিডিআরবি ও সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণাগার।
আদালতের আদেশ প্রতিপালন করে সংশ্লিষ্টরা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে হাইকোর্ট ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা দেন। তবে ওই নিষেধাজ্ঞার পরদিনই নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পায় মিল্ক ভিটা। তার পরদিন আরও দুটি কোম্পানির ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ৩১ জুলাই আদালতের আরেক আদেশে সবগুলো কোম্পানির উপর থেকেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা আবারও শুরু হয়েছে।
খামারীদের প্রতিবাদ ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য
১৪টি কোম্পানির তরল দুধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর খামারিরা রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন। এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। ভাবিয়ে তুলেছে প্রধানমন্ত্রীকেও। বর্তমানে তিনি সরকারি সফরে লন্ডনে থাকলেও সেখান থেকেই সরাসরি কথা বলেছেন এই দুধ বিষয়ে।
৩০ জুলাই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের বিশেষ জরুরি সভায় লন্ডন থেকে ফোনে বক্তব্যকালে তিনি বলেন: আমরা খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি, মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যাতে খেতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। যথাযথভাবে এগুলো যাতে পরীক্ষা করা হয় সে জন্য আমাদের বিএসটিআইকে উন্নতমানের করে দিয়েছি। প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্যের কী কী বিষয় পরীক্ষা করা হয়, তার একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড আছে। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতে এগুলো পরীক্ষা করা হয় এবং বাজারজাত করা হয়। সরকারের সুনির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে সেখানে আমরা করি।
শেখ হাসিনা বলেন: আমাদের যে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের যে বেঁচে থাকার পথগুলো সৃষ্টি করা হয়, সেগুলো কেন বাধাগ্রস্ত করা হয় এটিই আমার প্রশ্ন। এখানে আমার মনে হচ্ছে যে, আমদানিকারক যারা তাদের কোনো কারসাজি আছে কিনা, সেটি আমাদের দেখা উচিত- তারা কোনোভাবে উৎসাহিত করছে কি না। আর যারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন, তাদের এ বিষয়ে ভেবে দেখা উচিত। হঠাৎ একটা গুজব ছড়িয়ে রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করা বা দেশের উৎপাদিত পণ্যের মান সম্পর্কে কথা বলা- এটি দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কাজেই যারা গুজব ছড়াবে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবে তাদের বিরদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন: আমি ঠিক জানি না হঠাৎ একজন প্রফেসর সাহেব, তার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটা কথা ছড়িয়ে দিয়ে রিট করা বা সিদ্ধান্ত নেয়াটা এর প্রকৃত ফল কী হবে, সেটি হয়তো কেউ চিন্তা করেন না। দুধ বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার গরুর দুধ বিক্রি করে সেই গরুর খাবারও জোগাড় করা হয়। যারা খামার করেছেন বা গরু পালন করছেন, তাদের কাছে থেকে দুধ কেনা হচ্ছে। এই মানুষগুলোর কাছে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য মানুষকে গরু কিনে দিয়েছি। এই মানুষগুলো যদি দুধ বিক্রি করতে না পারে, অর্থ জোগাড় করতে না পারে, তা হলে গরুকে কী খাবার দেবে আর নিজে কীভাবে খাবার কিনে খাবে- এই বাস্তবতাটা চিন্তা করা দরকার।
একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার চিন্তা যথেষ্ট যৌক্তিক। গ্রামীণ বিরাট জনগোষ্টির আয় ও জীবনযাত্রার সঙ্গে দুধের বাণিজ্য জড়িয়ে আছে। তবে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ওইসব দুধের গ্রাহক শিশুসহ বিরাট জনগোষ্টির স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা তিনি অবশ্যই করবেন বলে আশাবাদ রাখতেই পারি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিনই কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন: দেশে উৎপাদিত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতু, সালফা ড্রাগ ও এন্টিবায়োটিকের অস্তিত্ব নেই। ৩১ জুলাই দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিটের করা এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওই প্রতিবেদনে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে কোনো প্রকার ভারী ধাতুর (লিড ও ক্রোমিয়াম) অবশিষ্টাংশ পাওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনো কোনো প্রকার অ্যান্টিবায়োটিকও। অল্পকিছু উপাদান যা পাওয়া গেছে, তা সহনীয় মাত্রায় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
জনমনে শঙ্কা
বহুবছর ধরে সব পরীক্ষায় দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার পরে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে হঠাৎ করে আরেকটি পরীক্ষায় প্রায় শতভাগ নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টিকে দেশের জনগণ ‘হজম’ করতে পারছে না বলে মনে হয়েছে। কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় রাতারাতি অবস্থার পরিবর্তন হলো, এই বিষয়ে অনেকে সামাজিক মাধ্যমে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করা শুরু করেছেন। সবশেষ এই আলোচনা-বিতর্ক গিয়ে থেমেছে, ‘দুধে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিক আছে, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক নেই’ অবস্থানে।
এই অবস্থার সমাধান খুঁজতে আমরা যদি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই ফিরে যাই, তাহলে হয়তো মিলতে পারে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন: ‘গবাদি পশুকে রোগমুক্ত রাখতে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়৷ সেক্ষেত্রে দুধে কিছুটা অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকতে পারে৷ তবে দুধের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার কাজ করছে৷’
তার কথা যদি মেনে নেই, তাহলে ধৈর্য্য ধরে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তারপরেও দুধের বিষয়ে জনগণকে নিজ দায়িত্বে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আর খামারী-দুগ্ধ ব্যবসায়ীদেরও নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)