পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন: ভারতে কোনো বাংলাদেশি থেকে থাকলে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ফেরত নেওয়া হবে। কিন্তু বাংলাদেশে কাজের সুযোগ থাকায় বিদেশিরা অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে ফেরত পাঠানো হবে তাদের।
নাগরিকত্ব ইস্যুতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের কূটনৈতিক আচরণেও ইতিবাচক পরিবর্তনের কথাও জানিয়েছেন।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) বাতিলের দাবিতে উত্তাল ভারত। দেশটির উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে গণআন্দোলনসহ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীদলগুলো। তাদের আশঙ্কা এসব আইনের ফলে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়বে অনেক মানুষ।
এই অবস্থায় প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে কোনো ধরনের প্রভাবের আশঙ্কা নাকচ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন: ভারত সরকারের ওপর আস্থা থাকায়, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যে উদ্বিগ্ন নয় বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার ফলে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে দেশটি আন্তরিক হবে বলেও আশাবাদী তিনি। বাংলাদেশিদের ভারত ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।