আগামী ৩ ডিসেম্বর আলোচনার দিন ঠিক করা ছিলো। কিন্তু তার আগেই ১ তারিখে ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকদের আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।
ইউনিয়ন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং টোমার ঠাণ্ডা ও করোনাভাইরাসের কারণে দিয়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে সেজন্য কোনো পূর্বশর্ত নেই।
এর আগে দিল্লির সবগুলো প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়ারও হুমকি দেয় কৃষকরা। এরপরে শীর্ষ পর্যায়ের দফায় দফায় মিটিং শেষে তাদের বিক্ষোভস্থান পরিবর্তনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করে কৃষকরা।
নরেন্দ্র টোমার বলেন, গত ১৩ নভেম্বর আমরা আলোচনার জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু কৃষকরা আন্দোলনের মনোভাবে আছে। এখন শীত পড়েছে, করোনাভাইরাসও আছে। তাই আমরা কিসান ইউনিয়নকে বিজ্ঞান ভবনে ১ ডিসেম্বর দুপুর ৩ টায় আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা বিক্ষোভ ছেড়ে দেওয়ার এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জলকামান, টিয়ারগ্যাস আর পুলিশি বাধার মুখেও নিজেদের প্রতিবাদ চালিয়েই যাচ্ছে ভারতের কৃষকরা। আন্দোলনে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কৃষকদের সমর্থনে যুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্র প্রদেশের কৃষকরা।
নতুন আইনে ভারতে কৃষিপণ্য বিক্রয়, মূল্য নির্ধারণ ও গুদামজাত করণের নিয়মে পরিবর্তন আসবে। যে নিয়ম ভারতের কৃষকদের গত কয়েক দশক ধরে মুক্ত বাজার থেকে রক্ষা করেছে।
কৃষকরা চাইলে যে কারও কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারবে। আগে যা কেবলমাত্র সরকার অনুমোদিত এজেন্টদের কাছেই বিক্রি করতে হতো।
নতুন আইনে কৃষকদের স্বার্থে আঘাত আসবে আশঙ্কা থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে কৃষকরা।