চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতের হাজারতম ম্যাচে রোহিতদের বড় জয়

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজকের ম্যাচটি অনেক কারণেই মনে রাখবে ভারত। প্রথম দেশ হিসেবে একদিনের ক্রিকেটের হাজারতম ম্যাচ ও রোহিতের পূর্ণকালীন নেতৃত্বের সূচনাও বাড়িয়েছে ম্যাচটির গুরুত্ব। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ইতিহাস হওয়া ম্যাচ দাপটের সঙ্গে জিতেছে ভারত।

রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতে অল্পতে গুটিয়ে ১৩২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে রোহিত-চাহালরা। বড় জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলো স্বাগতিক দল।

১৯৭৪ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা ভারত ২০০৭ সালে ম্যাচের সংখ্যায় ছাড়িয়ে যায় অন্য সবদেশকে। দলটি এবার খেলে ফেললো নিজেদের হাজারতম ম্যাচ। রঙিন পোশাকের ফরম্যাটে একহাজার ম্যাচ খেলে ৫১৯টিতে জয় তুলেছে ভারত, আর হেরেছে ৪৩১ ম্যাচে। জয়ের হিসেবে দলটির সাফল্য ৫৪.৫৪ শতাংশ।

সাদা বলের ক্রিকেটে বিরাট কোহলি অধিনায়কত্ব ছাড়লে ভারত দলের নতুন ওয়ানডে নেতা হন রোহিত শর্মা। চোটবাধায় নিজের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট সাউথ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে পারেননি। সে কারণে আজ পোলার্ড-হোল্ডারদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে হলো পূর্ণকালীন মেয়াদে নেতৃত্বের সূচনা।

নতুন নেতার অধীনে টস জিতে দারুণ শুরু করে সিরাজ-ওয়াশিংটনরা। বোলিংয়ে দিনটা নিজেদের করে নেন ম্যাচ সেরা যুজবেন্দ্র চাহাল। ৯.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪৯ রান খরচায় ৪ ক্যারিবিয়ানকে ফিরিয়েছেন এ লেগ স্পিনার।

দলীয় ৭১ রানে পঞ্চম উইকেট হিসেবে লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে ফিরেন কাইরেন পোলার্ড। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হিসেবে জেসন হোল্ডারের সঙ্গে যৌথভাবে ১৫ বার শূন্য রানে ফিরেছেন এই হার্ডহিটার। তার নিচে ওয়ানডেতে ১৪ বার কোনো রান করতে পারেননি ব্রায়ান লারা, ডোয়েন স্মিথ ও ফিল সিমন্স।

চাহাল-ওয়াশিংটনের ঘুর্ণিতে ১৭৬ রানে থামে ক্যারিবিয়ানদের ইনিংস। এদিন শুরুর ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরের উইকেট আসে ৪৪ রানে। এরপরই বালির বাধ হয় পোলার্ডদের ইনিংস।

আসা-যাওয়ার দিনে ব্যর্থ হন ড্যারেন ব্রাভো, ব্রুকস, পুরানরা। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় যখন শতরানের নিচে আটকে পড়ার শঙ্কা তখন ক্যারিবিয়ানদের ত্রাতা হন হোল্ডার।

ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও অ্যালজেরি জোসেফকে নিয়ে ফিফটি করেন হোল্ডার। ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ৭১ বলে ৫৭ রান করে ক্যারিবিয়ানদের মান বাঁচান সাবেক অধিনায়ক।

মাঝের দিকে দুই ভারতীয় স্পিনারের তোপে অল্পতে গুটানোর শঙ্কা থাকলেও শেষে দেড়শ পেরোতে পারে সফরকারী দলটি। ২৯ রান করেন ফ্যাবিয়েন ও পেসার জোসেফ খেলেন ১৩ রানের ইনিংস।

ইতিহাসিক ম্যাচে অল্প লক্ষ্যে আটগাট বেধে নামে নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ইশান কিষান। কোভিড ইস্যুতে অন্য খেলোয়াড় বাদ পড়ায় পদোন্নতি হয় কিষানের। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বাহাতি ব্যাটার। অনেক সময় ক্রিজে থেকে করেছেন ২৮ রান।

কিষান যখন ফিরেন তখন দলের স্কোর ১১৫ রানে তিন উইকেট। এর আগে পুরোনো অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৮ রান করে ফিরেছেন জোসেফের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। পূর্ণ মেয়াদে অভিষিক্ত অধিনায়ক রোহিত হাঁকিয়েছেন ফিফটি।

৫১ বলে ১০ চার আর এক ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস সাজান রোহিত। চারে নামা পান্থ ১১ রান করে ফিরলেও সুর্যকুমার যাদবের ৩৪ ও দিপক হুডার ২৬ রানে বড় জয় তুলে নেয় ভারত।