ভারতের অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে চার দিন সিবিআইয়ের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সোমবার পর্যন্ত চিদাম্বরমকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পি চিদাম্বরমের আইনজীবী বলেন: তাদের যুক্তিতর্ক এবং জেল হেফাজতের সবকিছু বিবেচনা করে চিদাম্বরমকে চার দিন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষ আদালত। সিবিআইয়ের আবেদন ছিল পাঁচ দিনের।
জেল হেফাজতে থাকাকালীন আইনজীবী এবং পরিবারের সদস্যরা প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে চিদাম্বরমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন।
এনডিটিভি জানায়, বুধবার রাতে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার সকালে চিদাম্বরমকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এরপর তাকে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সিবিআই জানায়, তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসেরে প্রবীণ নেতা এবং অভিজ্ঞ আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে একবার সমন জারি করা হয়েছে এবং তিনি তা মান্য করেছেন। তাহলে কিভাবে তিনি অসহযোগিতা করলেন?
কংগ্রেস নেতা এবং আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, আইএনএক্স মামলাটি পুরোপুরি একটি মামলার নথি (কেস ডায়েরি) এবং অন্য একজন অভিযুক্তের মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে করা।
পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। বিনিময়ে তার ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের সংস্থাকে বড় অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া।
২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই একটি এফআইআর দায়ের করে তার বিরুদ্ধে। আইএনএক্স এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জীর বক্তব্যের ভিত্তিতেই চিদাম্বরম এবং পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে মামলাটি সাজানো হয়। বর্তমানে মেয়ে শীনা বোরাকে হত্যার অভিযোগে জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী মুখার্জী।