চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতের সাথে ট্রানজিটসহ তিনটি পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে আন্তঃদেশীয়, ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট তিনটি পদ্ধতিতে পণ্য পরিবহন হচ্ছে।

তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের এ কে এম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন: ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশী নৌ-যান দ্বারা ২২ লাখ ৫০ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন পণ্য এবং ভারতীয় নৌযান দ্বারা ৮ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন পণ্যসহ মোট ২২ লাখ ৫৯ হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন পণ্য পরিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশী নৌ-যান দ্বারা ৪ হাজার ৪৯৯ মেট্রিক টন ট্রানজিট পণ্য পরিবাহিত হয়েছে।

ওই পণ্য পরিবহনকালে বাংলাদেশী নৌযানসমূহ ভাড়া বাবদ ১ কোটি ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ৯৬০ টাকা অর্জন করেছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় নৌপথে নৌযান চলাচলের জন্য উভয় দেশের নৌ-সচিব কর্তৃক ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বরে নয়াদিল্লীতে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আলোচ্য প্রটোকলের আওতায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসমূহ ‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’র মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে একটি ‘ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) নির্মাণের পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আইসিটি নির্মিত হলে নৌপথে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্যকে সমৃদ্ধশালী ও প্রসার ঘটানো সম্ভব হবে।

এছাড়া, ২০১৬ সালের ১৬ জুনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থায় আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে ‘বাই-মডেল’ পদ্ধতিতে নিয়মিতভাবে ‘ট্রান্স-শিপমেন্ট’ কার্যক্রম উদ্বোধন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন: এছাড়া ট্রানজিট মাশুল বাবদ প্রতি মেট্রিক টন পণ্যের জন্য ১৯২ দশমিক ২২ টাকা রাজস্ব অর্জিত হচ্ছে যা জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।