ভারতের বিপক্ষে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব খেলতে শুক্রবার কলকাতা পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। নতুন মিশনে মাটিতে পা রেখেই লাল-সবুজ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে তার দলের খেলা হবে সমানে সমান।
সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে ১৫ অক্টোবরের ম্যাচকে সামনে রেখে শুক্রবার দুপুরে কলকাতা পৌঁছায় বাংলাদেশ। হোটেলে সাঁতার, হাল্কা অনুশীলন সেরে দিনটি কাটিয়েছেন জামাল-সুফিলরা। শনিবার থেকে পুরোদমে অনুশীলন।
অন্যদিকে গুয়াহাটিতে অনুশীলনে ব্যস্ত ভারত। বাছাইপর্বে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বিশ্বকাপের স্বাগতিক কাতারকে তাদেরই মাটিতে রুখে দিয়ে রীতিমত উড়ছে ইগর স্টিমাচের শিষ্যরা। প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গানের। চোটাক্রান্ত আরেক ডিফেন্ডার রাহুল ভিকি। নিষেধাজ্ঞায় খেলা হবে না মিডফিল্ডার রাউলিন বর্গেসের। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারদের চোট পাওয়ায় তুলনামূলক নতুন এক রক্ষণভাগকে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ ম্যাচে।
যে কাতারকে রুখে দিয়ে উড়ছে ভারত, একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে দারুণ খেলেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। নিজেদের মাঠে হেরেছে ২-০ গোলে। ম্যাচে অসাধারণ খেলেও গোল না পাওয়ায় আফসোস আছে জামালের। ভালো খেলার অভিজ্ঞতা তিনি কাজে লাগাতে চান প্রতিবেশী দেশের বিপক্ষে।
‘ঘরের মাঠে চাপটা বেশি ভারতের। কারণ ম্যাচটা ওদের জিততে হবে। আবেগের এই ফুটবল ম্যাচে হারতে চাই না। কড়া ট্যাকল, ধাক্কাধাক্কি হবেই। আমাদের দলে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। ভারতকে হারানোর জন্য মরিয়া তাগিদ ও তারুণ্যই আমাদের অস্ত্র।’
‘কাতারের বিপক্ষে সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারলাম না। নিজেই দুই সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছি। তিনবার গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেছে কাতার। ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না।’
তরুণ এক দল হওয়ায় ভারতের চেয়ে ফিটনেসে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকবে না বাংলাদেশ। এমনই ভাবনা কোচ জেমি ডের, ‘ভারত কিন্তু আমাদের চেয়ে মাত্র এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে। আমাদের দুর্বল ভাবা চলবে না। ভুটানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। ফিটনেসে আমরাও সমানে সমানে লড়াই করবো।’
ফিটনেস নিয়ে চিন্তা না থাকলেও বাংলাদেশের আসল দুশ্চিন্তা হতে পারেন সুনিল ছেত্রী। অভিজ্ঞ এ ফরোয়ার্ডই বদলে দিতে পারেন ম্যাচের ভাগ্য। দুই দলের সবশেষ দুই ম্যাচেই ফল হয়েছে ড্র। ১-১ ও ২-২ গোলে ড্র হওয়া ওই ম্যাচ দুটিতে গোল করেছেন ভারতের সুপারস্টার ফুটবলার।
সুনিল ছেত্রীকে নিয়ে তাই আলাদা ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এর আগে দুবার ভারতের বিপক্ষে খেলেছি। প্রথমবার ১-১এ শেষ হয়েছিল। দ্বিতীয় বার ফল হয় ২-২। দুই ম্যাচেই গোল করেছিলেন সুনিল। ও আমাদের জন্য বড় বিপদ। ভারতের পুরো দলটার রিমোট কন্ট্রোলই সুনিলের হাতে। উদান্ত সিং দারুণ গতিবান। গোলবারে গুরপ্রীত সিং। এই তিনজনের জন্যই ভারত ফেভারিট আমাদের বিরুদ্ধে।’