প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ৬০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে শ্রীলঙ্কা। গলে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে লঙ্কানরা। ফলোঅন এড়াতেই আরও ২৪৭ রান চাই। আর লিড নিতে চাই ৪৪৬ রান!
শ্রীলঙ্কার হাতে খাতা-কলমে ৫ উইকেট থাকলেও বাস্তবে আছে ৪টি! আঙুলের চোটের কারণে ব্যাট করতে পারবেন না অ্যাসেলা গুনারত্নে। শুধু এই টেস্টেই নয়, পুরো সিরিজের জন্যই মাঠের বাইরে ছিটকে গেলেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
অবশ্য ভরসার হয়ে আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ৫৪ রানের অপরাজিত সদ্য সাবেক হয়ে পড়া অধিনায়ক। সঙ্গী দিলরুয়ান পেরেরা ৬ রানে তৃতীয় দিনের লড়াইটা এগিয়ে নিতে নামবেন।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। ৬৮ রানের মাথায় জোড়া আঘাত হানেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি। ধানুষ্কা গুনাথিলাকা (১৬) ও কুশল মেন্ডিককে (০) তিন বলের ব্যবধানে ফেরান সামি। ভাল করতে পারেননি নিরোশান ডিকেভেল্লাও (৮)।
লঙ্কান শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন উমেশ যাদব। তার বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন দিমুথ করুণারত্নে। পরে যা একটু ছন্দে ব্যাট করেছেন উপুল থারাঙ্গা। মারমুখী ইনিংসে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ৯৩ বলে ৬৩ রানে ফিরেছেন। রানআউটের খাড়ায় কাটা পড়েছেন তিনি।
সকালে ৩ উইকেটে ৩৯৯ রান নিয়ে দিন শুরু করে ভারত। পরে প্রথম ইনিংসে ৬০০ রানে থামে বিরাট কোহলির দল। শ্রীলঙ্কায় এটাই তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
গত ডিসেম্বর থেকে এই নিয়ে পাঁচবার ৬০০ বা তার বেশি রান তুলল ভারত। এর সবগুলো এসেছে শেষ আট টেস্টে। তার আগে অবশ্য ৪৭ টেস্টে একবারও ছয় শতাধিক রান তুলতে পারেননি সবসময়ই তারকা খচিত ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে খেলে দলটি। সব মিলিয়ে ২৮তম বার ছয় শতাধিক রানের ইনিংস গড়ল তারা।
একই সময়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া অন্য কোনও দল ছয়শর ওপরেই রান তুলতে পারেনি। মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় শতাধিক রানের ইনিংস গড়েছিল অজিরা।
বড় সংগ্রহের পথে ভারতের হয়ে অভিষেক টেস্টেই হাফসেঞ্চুরি করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। লাঞ্চের আগে স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৫০৩! লাঞ্চের পর মারমুখী হয়ে ওঠেন হার্দিক। ৪৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মোহাম্মদ সামি। ৩০ বলে ৩০ রানে ফেরেন এই পেসার।
প্রথম দিনে সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকা চেতেশ্বর পূজারা ১৫৩ রানে এবং আরেক অপরাজিত আজিঙ্কা রাহানে ৫৭ রানে ফিরেছেন। অশ্বিনের ব্যাটে এসেছে ৪৭ রান।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে নুয়ান প্রদীপ ১৩২ রানে ৬টি ও লাহিরু কুমারা ১৩১ রানে ৩ উইকেট নেন।