ভারতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটার।
এনডিটির সংবাদের তথ্যমতে, সপ্তাহখানেক আগে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেসের তৈরি দাবি করে একটি নথি টুইট করেন। সেটিকেই ‘ম্যানিপুলেটেড মিডিয়া’ লেবেল করে দেয় টুইটার। এর জন্য প্রথমে টুইটারের কাছে কৈফিয়ত চায় ভারত সরকার, এরপরেই তাদের কার্যালয়ে পুলিশ হানা দেয়।
দক্ষিণ দিল্লীর লাডোসরাইতে টুইটার ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে যান দিল্লী পুলিশের স্পেশাল সেলের কর্মকর্তারা। তবে মহামারির কারণে টুইটারের প্রায় সব কর্মীই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করায় সেখানে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ কোনো কর্মকর্তা ছিলেন না। একারণে নিরাপত্তারক্ষীদেরই জেরা করে ফিরে আসে পুলিশ।
তবে টুইটার অফিসে পুলিশ পাঠিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ভয় দেখানোর কৌশলের হুমকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই মিডিয়ার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি আইন মেনে চলার প্রচেষ্টা করবে, মুক্ত কথোপকথনে বাধা দেয় এমন উপাদানগুলো ক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন আসবে।
টুইটারের মুখপাত্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহামারী চলাকালীন সময়ে সহায়তার উৎস হিসেবে আমাদের প্রতিষ্ঠান কাজ করে গেছে ভারতের মানুষের জন্য। আমরা ভারতের প্রযোজ্য আইন মেনে চলার কাজ করার চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বচ্ছ নীতির ওপর নির্ভর করে আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আইনের শাসনের অধীনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং কঠোরভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করবো।
সম্প্রতি ভারতের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইটারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সোজা টুইটার কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হয় দিল্লী পুলিশ।