অলিম্পিকের ১১ মাস আগে বড়সড় ধাক্কা খেল ভারত। অনিয়মের অভিযোগে দেশের জাতীয় ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরিকে (এনডিটিএল) ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা। এই দীর্ঘ সময়ে এনডিটিএল ভারতীয় অ্যাথলেটদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারলেও তার পরীক্ষা দেশের বাইরে ওয়াডা স্বীকৃত কোনো ল্যাবরেটরিতে করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
এমন ঘটনার জন্য ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির গাফিলতিকেই দুষেছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। কেন এই শাস্তি? এক বিবৃতিতে ওয়াডা জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরি আন্তর্জাতিক মানের নয়।
২০২০ টোকিও অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে চলতি বছরের মে মাসে বিভিন্ন দেশের ওয়াডা স্বীকৃত ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলির মান ঘুরে দেখেন সংস্থার বিশেষজ্ঞরা। তাদের দেয়া রিপোর্টে ভারতের জাতীয় ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরি ফেল করেছে বলে জানিয়েছে ওয়াডা।
কোনো অ্যাথলেটের ডোপ টেস্টের জন্য যতটা পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা থাকা প্রয়োজন, তা ভারতের ওই ল্যাবরেটরিতে নেই বলেই ওয়াডার বক্তব্য।
এবার উপায়? ওয়াডার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগামী ২১ দিনের মধ্যে কোর্ট অফ আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা সিএস-এ আবেদন করতে পারে ভারত। মামলা চলাকালীন ভারতের জাতীয় ডোপ টেস্টিং ল্যাবরেটরি কোনো অ্যাথলিটের নমুনা জমা পড়বে না। এনডিটিএল ভারতীয় অ্যাথলেটদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারলেও তার পরীক্ষা দেশের বাইরে ওয়াডা স্বীকৃত কোনো ল্যাবরেটরিতে করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
মামলায় হার হলে আরও বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে পারে ভারত। ফলে ভারতের ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডাকে কাঠগড়ায় খাড়া করেছে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন বা আইওএ। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নরিন্দর বাত্রারের মক্তব্য, নাডার ভুলে ভারতীয় অ্যাথলেটদের সমস্যা বেড়ে গেল।
অ্যাথলেটদের ডোপ পরীক্ষার জন্য তাদের আগের থেকে অনেক বেশি খরচ করতে হবে বলে মনে করেন নরিন্দর বাত্রা।