এশিয়া কাপের প্রথম সাক্ষাতে বাজেভাবে হারের পর পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এমন পরামর্শের ঢল নেমেছে যে, সুপার ফোরের দ্বিতীয় সাক্ষাতে ভারতকে আটকাতে কী করা উচিত ক্রিকেটারদের! রোববারের ম্যাচের আগে দেশটির মিডিয়ায় উঠে এসেছে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ।
ফিল্ডিংয়ে উন্নতি
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছেন পাকিস্তানি ফিল্ডাররা। যার কারণে ম্যাচে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পেরেছে আফগানরা। পাঁচটা নয়, ভারতের বিপক্ষে এমন একটি সুযোগ নষ্টেরও চরমমূল্য দিতে হবে পারে।
অধিনায়কের বাড়তি দায়িত্ব
অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ এশিয়া কাপে এখনো বড় রান করতে পারেননি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে করেন ৮ রান। হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে নামতে হয়নি তাকে। সাম্প্রতিক জিম্বাবুয়ে সফরে রান ছিল না তার ব্যাটে। সেখানে দুই ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ৬ ও ১৩। বিপরীতে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা হংকংয়ের বিপক্ষে ভালো করতে না পারলেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫২ ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮৩ রান করেন।
ওপেনারদের পার্টনারশিপ
বড় স্কোর গড়তে হলে উদ্বোধনীতে ভালো জুটি হওয়া খুবই জরুরি। এশিয়া শুরুর আগে জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলকে আশা জাগিয়েছিলেন ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক। কিন্তু শেষ তিন ম্যাচে পাকিস্তানের দুই ওপেনার জোট হয়ে তুলতে পেরেছেন ১, ২ ও ৪১ রান। এদের একজন ইমাম-উল হক অবশ্য রান পেয়েছেন। তিন ম্যাচে তার রান ৮০, ২ ও অপরাজিত ৫০। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হিরো বিস্ফোরক ফখর জামান পুরোপুরি ব্যর্থ। তিন ম্যাচের তার রান ০, ০ ও ২৪।
আমির ও শাদাবের ব্যর্থতা
দলের সেরা বোলিং অস্ত্র মোহাম্মদ আমির এখনো পর্যন্ত পরীক্ষায় ফেল। দুই ম্যাচ খেলে কোনো উইকেট পাননি। আফগানিস্তান ম্যাচে খেলানো হয়নি তাকে। তেমন দাগ কাটতে পারেননি স্পিনার শাদাব খানও।
মিডলঅর্ডার সমস্যা
পাকিস্তান দলের প্রধান সমস্যা ধারাবাহিকতার অভাব। দলের মিডলঅর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শোয়েব মালিক ও বাবর আজম ছাড়া মিডলঅর্ডারে কেউই ভরসা দিতে পারছেন না। তারা দুজনই বলতে গেলে পুরো দলের ব্যাটিং নিউক্লিয়াস। সর্বশেষ আফগানিস্তান ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাদের। ম্যাচে ইমাম ছাড়া বাবর করেন ৬৬ রান। আর মালিকের অপরাজিত ৪৩ বলে ৫০ রানের ইনিংসেই মূলত জয় পায় পাকিস্তান। এছাড়া ভারতের বিপক্ষে ১৬৩ রানে গুটিয়ে যাওয়া ইনিংসে মালিক করেছিলেন ৪৭ রান। আর বাবরের ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৩ রান।