আমাদের স্কুলের পাশেই সুনামগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি। সেটির আরেক নাম ‘শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার’। নামটির সঙ্গে সেই ছোটবেলায় পরিচয় ঘটে গেছে। কিন্তু কোনদিন মনে প্রশ্ন জাগেনি কে এই জগৎজ্যোতি? কেনই বা তার নামে এ পাঠাগারের নামকরণ? সুনামগঞ্জ শহরের এমন একটা জায়গায় পাঠাগারটির অবস্থান, যে কেউ অনায়াসে ঠিকানাটা বলে দিতে পারে।
সাড়ে চার বছর আগের কথা বলছি, চ্যানেল আইয়ের সেন্ট্রাল ডেস্ক থেকে বদলি হয়ে সবে মাত্র স্পোর্টস রিপোর্টিং শুরু হয়েছে আমার। দুপুরের দিকে স্পোর্টসের রুমে বসে আছি। শাহবাগে তখন রাজাকারদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে অচল হয়ে আছে গোটা ঢাকা। খেলাধুলার কাজ নেই বললেই চলে। হঠাৎ চ্যানেল আইয়ের নিউজ এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান এসে ঢুকলেন। প্রশ্ন করলেন, ‘তোমাদের শহীদ জগৎজ্যোতি’ সম্পর্কে কি জানো তুমি? আমি তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কিছু না বুঝেই উত্তর দিলাম ‘এই নামে আমাদের একটা পাবলিক লাইব্রেরি আছে’। তিনি বললেন, কিছুই তো জানো না দেখি ! ইউ শ্যুড বি প্রাউড অফ হিম। জগৎজ্যোতি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি তোমার এলাকার। ফেসবুকে তোমাকে একটা লিঙ্ক দিচ্ছি, কিছু পড়াশুনা করো।
প্রজন্ম জানে না বীরের নামটাও
শুধু আমি নই, আমার প্রজন্মের অনেকেই জানে না শহীদ জগৎজ্যোতির নাম কিংবা ১৯৭১ সালের তার বীরত্বগাথা। ২০১৩ সালে এসে আমি প্রথম পড়েছি। উনার দেওয়া লিঙ্ক থেকে পেয়েছি আরও অনেক লিঙ্ক। শ্রদ্ধেয় দাদা সিলেটের সাংবাদিক অপূর্ব শর্মার লেখা ‘অনন্য মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি’ আরও অনেক কিছু জানিয়েছে জ্যোতির বীরত্বগাথা সম্পর্কে। আমাদের পারিবারিক আলোচনায় শুনেছি শহীদ জগৎজ্যোতি দাস আমার বাবারও ক্লাসমেট ছিলেন। এটা শুনে আগ্রহ বেড়েছে আরেকটু বেশি। কিন্তু হতাশাও আছে। জগৎজ্যোতির মতো তার বন্ধুরাও যে হারিয়ে গেছেন একটু আগেভাগেই। অনেক চেষ্টা করেছি তাদের কাউকে খুঁজে পেতে। অন্তত ফোন নাম্বার নিয়ে কথা বলতে পারলেও জানা যেতো কতকিছু। কিন্তু শহীদ জ্যোতির বন্ধু-বান্ধব বেশিরভাগই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ ও জগৎজ্যোতি
এখানে একটা বিষয় আমার কাছে খুব পরিস্কার। সুনামগঞ্জ শহরে জগৎজ্যোতির খুব বেশি সময় কাটেনি। আর এ কারণেই হয়তো শহুরে স্মৃতি খুব বেশি উঠেও আসেনি তাকে নিয়ে লেখা কোন গ্রন্থে কিংবা তাকে কাছ থেকে দেখেছেন এমন কোন মানুষের স্মৃতিগাথায়। কলেজ জীবনের দুই থেকে আড়াই বছর সময়টা কেটেছে এ শহরে। সেটা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে আগে। তখন তিনি ছাত্র ইউনিয়নে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মেনন গ্রুপের সক্রিয় কর্মী। অতোটা নামডাক হয়নি জগৎজ্যোতির। থাকতেন শহরের কালিবাড়ি এলাকায়।
তথ্যগুলো আমাকে টেলিফোনে বলেছেন মনসুর আহমদ চৌধুরী। তিনিও তৎকালীন সুনামগঞ্জ ছাত্র ইউনিয়নের মেনন গ্রুপের অন্যতম সদস্য ছিলেন। তিনি আমার বন্ধুর বাবা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা গলায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে মনসুর চাচা জানান, একই পাড়ায় বসবাস এবং একই সংগঠনের কর্মী হিসেবে চিনতাম জ্যোতিকে। খুবই বিনয়ী এবং চুপচাপ স্বভাবের ছিলো। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর অন্য এক জ্যোতিকে চিনেছি। আগুনে স্বভাবের সাহসী এক বীরকে চিনেছি। একইরকম তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন সুনামগঞ্জ শহরের প্রবীণ আইনজীবী মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ খছরু। তিনিও বলেছেন, জ্যোতিকে চিনতাম লিবারেশন পিরিয়ডের আগে। আমাদের জুনিয়র, তখন অতোটা পরিচিত হয়নি সে। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে শহীদ জগৎজ্যোতি তার দেশপ্রেমের আসল পরিচয় তুলে ধরেছে। দেশের জন্য বুলেট বুকে নিয়ে আত্মত্যাগ করে গেছে।
আজমিরীগঞ্জের ক্ষণজন্মা জ্যোতি
প্রজন্মের জানা থাকা উচিত সঠিত তথ্যগুলো। সুনামগঞ্জ নয়, জগৎজ্যোতির নিজের জেলা এখনকার হবিগঞ্জ। ১৯৪৯ সালের ২৬ এপ্রিল কালনীর ভেড়ামোহনা নদীর পাশের আজমিরীগঞ্জের জলসুখা গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন ক্ষণজন্মা এই বীরপুরুষ জগৎজ্যোতি দাস। জীতেন্দ্র দাসের কনিষ্ঠ পুত্র তিনি। শৈশব থেকে জ্যোতি শান্ত স্বভাবের হলেও ছিলেন প্রতিবাদী, জেদী, মেধাবী এবং সাহসী। স্কুল জীবনেই জগৎজ্যোতি আইয়ব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৬৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করার পর সুনামগঞ্জ কলেজে ভর্তি হন। তেজোদীপ্ত, বিপ্লবী ও স্পষ্টভাষী ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেন। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিশেষ দায়িত্ব পালনে ভারতের গৌহাটির নওপং কলেজে ভর্তি। সেখানে অবস্থানকালে অনেকগুলো অঞ্চলের ভাষাও আয়ত্ব করেন জগৎজ্যোতি। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে আবার দেশে ফিরেন তিনি।
স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং জ্যোতির বীরত্বগাথা
ইতিহাস পড়ে জেনেছি, সুনামগঞ্জ থেকে ১১৪ জনের একটি দল মুক্তিসংগ্রামে অংশগ্রহনের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যায়। সে দলের নেতৃত্বে ছিলেন জগৎজ্যোতি দাস। প্রশিক্ষণ শেষে জগৎজ্যোতির দল দেশে প্রবেশ করলে ভাটি অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনীকে বাধা দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়। হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের সুবিশাল এলাকাকে ভাটি অঞ্চল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সড়ক পথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের অস্ত্র খাবারদাবার এই অঞ্চলের জলপথ ব্যবহার করে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে পৌঁছে দিতো।
যুদ্ধে যাবার আগে জ্যোতি মাকে বলে গিয়েছিলেন, ‘তোমার লগে দেখা ওইবো স্বাধীন দেশো’। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর দেখা ওইতো না’। অর্থাৎ তোমার সঙ্গে আমার দেখা হবে স্বাধীন দেশে। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আর দেখা হবে না। সে যুদ্ধ শেষ হয়েছিল জ্যোতির বুকের রক্তে। ১৯৭১ সালের ১৬ নভেম্বর মাত্র ২২ বছর বয়সে দেশ স্বাধীন হবার ঠিক এক মাস আগে নিজের বাড়ির খুব কাছে ‘খইয়া গোপী’ বিলে শত্রুর বুলেটে জীবনাবসান হয় জগৎজ্যোতির।
দাসপার্টি ও লিডার জ্যোতি
কুশিয়ারা নদীতে পাকিস্থানীদের একটি কার্গো ডুবিয়ে শুরু হয় তাদের অভিযাত্রা। জগৎজ্যোতির নেতৃত্বে গড়ে উঠা ‘দাস পার্টির’ আক্রমণ এতো তীব্র ছিল যে বাধ্য হয়ে এই রুটে পাকিস্তানী বাহিনী নৌচলাচল বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তান সরকার রেডিওতে ঘোষণা করে এই রুটে চলাচলকারীদের দায়দায়িত্ব সরকার নেবে না। একে একে ভাটি অঞ্চলে সফল অপারেশনের কারণে পাকিস্তানী বাহিনীর কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠে জগৎজ্যোতি দাসের ‘দাস পার্টি’। জগৎজ্যোতির ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা সরাসরি তার সাথে যুদ্ধে না নেমে তাকে ফাঁদে ফেলে। রাজাকারদের মাধ্যমে তার অবস্থান সম্পর্কে জেনে নিয়ে রাজাকারদের টোপ হিসাবে ব্যবহার করে।
১৬ নভেম্বর, ১৯৭১। রানীগঞ্জ, কাদিরগঞ্জ অভিযান শেষে দিরাই-শাল্লা অভিযান ও আশুগঞ্জ শাহাজীবাজারের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতে ‘দাস পার্টি’ ১৬ নভেম্বর সকালে হবিগঞ্জের ভেড়ামোহনা নদীতে পৌছে। বদলপুর ইউপি অফিসের সামনে পৌঁছার পর তারা দেখতে পান ৩-৪ জন রাজাকার ব্যবসায়ীদের নৌকা থেকে চাঁদা আদায় করছে। জ্যোতি রাজাকারদের ধরে আনতে নির্দেশ দেন। দুই জন মুক্তিযোদ্ধা এদের ধরে আনতে যান।
মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে রাজাকাররা পালাতে শুরু করে। দু’জন করে তাদের পিছু ধাওয়া না করে তারা নৌকায় ফিরে আসেন। এতে জ্যোতি ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। ‘আজ ওদের রক্ষা নেই’ বলে ১০-১২ জনের একটা দলকে সঙ্গে আসতে বলে, একটি মর্টার শেল, একটি এসএমজি ও দুটি মেশিনগান নেয়ার নির্দেশ দেন। সেসময় সহযোদ্ধা ইলিয়াস বলেছিলেন ‘পুরো শক্তি নিয়ে গেলে ভালো হতো দাদা’। জ্যোতি তাকে বলেছিলেন, ‘‘রাজাকার মারতে কিতা তুই কামান লওয়ার কথা কছনি। ইতারে শাইস্তা করতে আমার এসএমজি অই বউত্তা’। (রাজাকার মারতে কি তুই আমাকে কামান নেয়ার কথা বলছিস নাকি? এদের শায়েস্তা করতে আমার এসএমজিই অনেক কিছু)।
যুদ্ধময়দানে জ্যোতি
প্রথম গুলি এসে লাগে সহযোদ্ধা আইয়ুব আলীর শরীরে। গুলিবিদ্ধ আইয়ুব আলী ছটফট করতে থাকেন। তাকে নিয়ে ব্রাশফায়ার করতে করতে দুইজন পিছু হটেন। আরেকজন তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়লে ১২ জনের দল এসে দাঁড়ায় ৫ জনে। বিকেল সাড়ে তিনটায় বাম পাঁজরে গুলিবিদ্ধ হন ইলিয়াস। জ্যোতি তাকে জড়িয়ে ধরেন। বলেন, ‘কি বাঁচবি তো?’ নিজের মাথার লাল গামছা খুলে ইলিয়াসের ক্ষত স্থানে বেঁধে দেন। এ সময় সহযোদ্ধাদের নির্দেশ দেন তোমরা যেভাবে পারো আত্মরক্ষা করো। আমরা তোমাদের ব্যাকআপ দিচ্ছি। একে একে সবাই চলে যান। গুলি সরবরাহকারীরাও ছোটাছুটি করতে থাকেন নিরাপত্তার জন্য। বিলের পাড়ে শুধু গুলিবিদ্ধ ইলিয়াস আর জগৎজ্যোতি। ইলিয়াসের শরীর থেকে তখনো রক্ত ঝরছে, পিছু হটারও সুযোগ নেই। ইলিয়াস নিচুস্বরে বলেন, ‘চলো আমরা আত্মরক্ষা করি।’ জগৎজ্যোতি বলেন, ‘পালাবো না, সব ক’টাকে শেষ করে তবে যাবো।’ একে একে ১২ জন পাকিস্তানী সেনাকে একাই গুলি করে শেষ করেন জগৎজ্যোতি। জ্যোতির নির্ভুল নিশানার কারণে সামনের দিকে আর এগুতে পারেনি পাকিস্তানী হায়েনার দল।
শেষবেলার জ্যোতি
সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ছে, পর্যাপ্ত গুলিও নেই। ইলিয়াস বলেন, ‘দাদা, যে পরিমাণ গোলা-বারুদ আছে বড়জোড় সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা লড়াই করতে পারবো। দু’জনে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবার সিদ্বান্ত নেন। অন্ধকার হলে অন্য যোদ্ধাদের নিয়ে আবারও আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যান দুই বীর। বিকেল ৫টার দিকে বুলেট এসে বিঁধে জ্যোতির শরীরে। শেষ বারের মতো শুধু বলে উঠেন ‘আমি যাইগ্গাই রে’। (আমি চলে যাচ্ছি রে)।
ইলিয়াস পিছন ফিরে দেখেন বিলের পানিতে ডুবে যাচ্ছে তার প্রিয় কমান্ডারের দেহ। ডুবন্ত দেহকে শেষ বিকেলের রক্তিম আভায় শেষবারের মতো তুলে ধরেন। কোমর পানিতে কাদার মধ্যে নিজের হাতে ডুবিয়ে দেন সহযোদ্ধার দেহ। যেন সুযোগ পেলে পুনরায় এসে লাশ তুলে নিতে পারেন।
নিথর জ্যোতিকেও বর্বর নির্যাতন
জগৎজ্যোতির লাশকেও ভয় পেয়েছিল হানাদার বাহিনী এবং রাজাকাররা। তাই রাতেই তার লাশ তুলে আনে বিল থেকে। ভোর হওয়া মাত্র তার নিহত হবার খবর ছড়িয়ে দেয় রাজাকাররা। আজমিরীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসা হয় জ্যোতির লাশ। জনসম্মুখে থু থু দেয় লাশের উপর। যতো ধরনের বর্বরতা ছিল তারা সবই করে তারা নিথর দেহের উপর। শ্লোগান তুলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ। মুক্তিকামী মানুষের মনে ভয় ধরাতে তারা জগৎজ্যোতির লাশ নিয়ে মেতে উঠে পৈশাচিক বর্বরতায় মুক্তিযোদ্ধাদের পরিণতি মানুষকে দেখাতে বিবস্ত্র দেহ বেঁধে রাখে বাজারের বিদ্যুতের খুঁটির সাথে। তার ছবি তুলে রাখে। পাকিস্তানী সেনাদের দোসররা বিকেলে তর লাশ ভাসিয়ে দেয় ভেড়ামোহনার জলে। আজমিরীগঞ্জ বাজারে লাশ নিয়ে যাওয়ার আগে জগৎজ্যোতির পিতা মাতাকে সন্তানের লাশ দেখানো হয়। তারা বাড়ি ফিরে দেখেন রাজাকাররা দাঁড়িয়ে থেকে আগুন জ্বালিয়ে পুড়াচ্ছে তাদের বসতভিটা। সাহস করে কেউ তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পারেনি সেদিন।
জ্যোতির স্বীকৃতি
জ্যোতির বীরগাথা আর আত্মত্যাগ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, অল-ইন্ডিয়া রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। পরে অবশ্য তাকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বউদি ফনিবালা দাসের হাতে তার বীর উত্তম সম্মাননা ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
কিন্তু শহীদ জগৎজ্যোতিকে প্রতিশ্রুত সর্বোচ্চ মরণোত্তর খেতাব এখনো দেওয়া হয়নি। কবে হবে জানি না। একইসঙ্গে পাঠ্যবইয়ে জগৎজ্যোতির বীরত্বগাথা ছাপা হলেও এ প্রজন্ম জানতে পারতো এ বীরপুরুষকে।
তথ্যসূত্র:
০১. অনন্য মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি, লেখক: অপুর্ব শর্মা।
০২. দাস পার্টির খোঁজে, লেখক: হাসান মোরশেদ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে)