ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৯-২০ সেশনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
আগামীকাল শুক্রবার ব্যবসায় অনুষদভুক্ত গ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
এ সময় সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন: ভর্তিচ্ছুদের জন্য আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ এবং পরীক্ষার আগের রাতে হলে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য থাকবে ‘জয় বাংলা বাইক সার্ভিস’। কেউ অসুস্থ হলে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে রাখা হবে চেয়ারের ব্যবস্থা এবং সুপেয় পানি থাকছে সবার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন: প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাদ্দাম বলেন: কেউ কোনোভাবে বিভ্রান্ত হবেন না। সবাই সচেতন থাকবেন। কোনো জালিয়াতি চক্রের দ্বারা প্রতারিত হবেন না।
কেউ যেন অসদুপায় অবলম্বন করতে না পারে সেদিকে সচেষ্ট থাকতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাদ্দাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে কর্তৃপক্ষ। নতুন পদ্ধতিতে, দেড় ঘণ্টায় নৈর্ব্যক্তিক অংশের ৭৫ নম্বর এবং লিখিত ৪৫ নম্বরের উত্তর করতে হবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।
এবার প্রতিটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সময় হবে দেড় ঘণ্টা। এর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৬০টি প্রশ্নের জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত অংশের ৩০টি প্রশ্নের জন্য ৪০ মিনিট সময় পাবে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। নৈর্ব্যক্তিক অংশে প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১ দশমিক ২৫ এবং লিখিত অংশে প্রতিটি প্রশ্নের মান হবে ১ দশমিক ৫০। পরীক্ষায় পাস করতে হলে ভর্তিচ্ছুদের নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৩০ নম্বর এবং লিখিত অংশে ১২ নম্বর পেতে হবে।