ধান উৎপাদনের ভরা মৌসুমে চুয়াডাঙ্গায় অধিকাংশ চাতাল কল বন্ধ হয়ে গেছে। ভারত থেকে আমদানি করা চালে বাজার সয়লাব হওয়ায় দেশি চালের দাম পাচ্ছে না চাতাল মালিকরা। দেশি চাল বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের মুখে প্রায় দু’শ চাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন মিল মালিকরা।
সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি মৌসুমে ৩৩ হাজার একশো’ ৩৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। যা থেকে উৎপাদিত হয়েছে দু’লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি ধান উৎপাদিত হলেও এই ভরা মৌসুমে ভালো নেই চাতাল মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় চাতাল মালিকরা জানান, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চাল কলগুলোতে অচলাবস্থা চলছে। এতে মিল মালিক, শ্রমিক ও চাষীসহ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ভারতীয় চালে বাজার ভরে যাওয়ায় দেশি চাল কিনছেন না অনেক ক্রেতা। প্রতিযোগিতায় টিতে থাকতে না পেরে জেলার অধিকাংশ ধান কল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন দুই-তিন হাজার চাতাল শ্রমিক।
লোকসান গোনা চাল কলগুলোর মালিকরা এখন আর ধান না কিনে ভূট্টার ব্যবসা করছেন। এই আয় থেকে তাদের মজুরি মেটানো হচ্ছে বলে জানান চাতাল শ্রমিকরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের গমপট্টিতে প্রতিদিন একশ টন ভারতীয় চাল আমদানি হচ্ছে। সেখানে দেশি চাল আমদানি হচ্ছে মাত্র ২০ টন। দেশি চালের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় ভারতের চাল বাজার দখল করে নিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান বলেন, ভারতীয় চালের দাম কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা সেদিকে বেশি ঝুঁকছেন। ভারতীয় চালের মান ও দামের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারছে না দেশি চাল। তিনি আরও জানান,দু-তিনমাস ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় চাতাল মালিকরা পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।