ভরপেট খাবার জোটে না বলে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্য। ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় সেই দুরাবস্থার কথা সামনে এনেছেন সেদেশের একজন কনস্টেবল।
তেজ বাহাদুর যাদব নামের ওই কনস্টেবল তিনটি আলাদা আলাদা ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সবমিলিয়ে ৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের। তাতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিম্নমানের খাবারের নমুনা সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
৪০ বছর বয়সী তেজ বাহাদুর জানান, ‘খাবার বলতে সকালে আধপোড়া পরোটা ও চা খেতে দেয়া হয়। আচার বা তরকারির থাকে না। দুপুরে ডাল, রুটি। ডাল না বলে তাকে লবণ মেশানো হলুদ গোলা পানি বলাই ভাল। দেশের জওয়ানরা দিনে ১১ ঘণ্টা কাজ করেন। এক মূহুর্তও বসার সুযোগ হয় না। কিন্তু এই খাবার খেয়ে এত খাটুনি কি সম্ভব? এমনও হয়, যেদিন খাবার জোটে না। তখন খালি পেটে ঘুমোনো ছাড়া উপায় থাকে না।’
তার মতে, ‘এতে সরকারের কোনও দোষ নেই। তারা তো সময়মতোই সবকিছু পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ওপরওয়ালাদের দুর্নীতির জেরে তা সেনাদের কাছে পৌঁছায় না।’
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দুরবস্থা নিয়ে মুখ খোলায় তার জীবনের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তেজ বাহাদুর। কিন্তু কী দুর্বিসহ কষ্টের মধ্যে তাদের দিন কাটছে, তা যেন দেশের মানুষ জানতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। তদন্তের দাবি করেছেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় টনক নড়ে ভারতের কেন্দ্র সরকারের।
এনডিটিভি জানায়, টুইটারে কেন্দ্রীয় স্বরাষট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ‘ভিডিওটি দেখেছি। বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছি স্বরাষ্ট্র সচিবকে। দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দাবি, ২০১০ সালে ঊর্দ্ধতন এক কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়ায় তেজ বাহাদুরকে চার বছরের জন্য সাসপেণ্ড করা হয়। সেই রাগ মেটাতে যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়াচ্ছেন তিনি।