ভবনের নকশায় আইন ও বিধিমালার নানা শর্ত থাকলেও বাস্তবায়ন হলো কি না, তা দেখার কেউ নেই। নতুন ভবন ব্যবহার শুরুর আগে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট বা নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেয়ার কথা থাকলেও সেটা নেন না ভবন মালিকরা। দুর্ঘটনার পর হইচই হলেও পরে তা চাপা পড়ে যায়।
‘ঢাকায় বসবাসের ঝুঁকি’ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
তাজরীনের পর রানা প্লাজা আর নিমতলীর পর চকবাজারের মতো দুর্ঘটনা। যোগ হয়েছে বনানীর মতো মৃত্যু আর গুলশান কাঁচা বাজারে সব হারিয়ে আর্থিকভাবে মৃত মানুষের হাহাকার। এভাবে নানা ঝুঁকি আর দূষণের কারণে ইকোনমিস্টের জরিপে বিশ্বে বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য রাজধানীর মধ্যে ঢাকা দ্বিতীয়।
রাজধানীর প্রতি ইঞ্চি জমিতে সেটা স্পষ্ট।
মোহাম্মদপুরের এসব ভবন এতোটাই পাশাপাশি যে দু’ ভবনের মধ্যে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি মালিকরা। শুধু এখানে নয়, রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই আছে নিয়ম না মানার চিত্র। আছে অজুহাতও।
একটি ভবনের নকশা এবং অগ্নিনিরাপত্তার জন্য ২০টির বেশি বাধ্যতামূলক শর্ত রয়েছে। ভবন নির্মাণ শেষে সব ঠিকমতো হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অকুপেন্সি সার্টিফিকেট নেয়ার কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই।
বনানীর অগ্নিদগ্ধ ভবনে ১৯ তলার অনুমোদন থাকলেও হয়ে গেছে ২৩ তলা। গুলশানের কাঁচাবাজারের টিন শেডের নীচে থাকা ত্রিপল বাড়িয়ে দিয়েছে আগুনের ভয়াবহতা। এরকম নিয়ম না মানার সংস্কৃতি রাজধানী জুড়ে।
ভবনের নকশা পাস করে রাজউক। সেই নকশা বাস্তবায়ন না হলে শাস্তির নজির রাখেননি আগের মন্ত্রীরা। নতুন দুর্ঘটনার পর আশ্বাস নতুন মন্ত্রীর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনার পর যেসব আশ্বাস মিলে, অতীতে তার বাস্তবায়ন হলে ঝুঁকির মাত্রা আজকের অবস্থায় আসতো না।
আরও বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে