বাংলাদেশ ফুটবল দল তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার পার্থে পৌঁছার পর অনুশীলন করেছে ফুটবলাররা। দলে ইনজুরির ধাক্কা না থাকায় ফুরফুরে মেজাজেই আছেন খেলোয়াড়রা।
বিশ্বকাপ-২০১৮ এর এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্বে পার্থেই ৩ সেপ্টেম্বর অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ইনজুরির সমস্যা না থাকলেও কন্ডিশন নিয়ে খানিকটা সমস্যায় পড়েছে খেলোয়াড়রা। সেখানে তাপমাত্রা দিনের বেলায় ১৪ আর রাতের বেলায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে।
সাজারুদের চেয়ে আমাদের ফুটবল যোজন যোজন পিছিয়ে থাকলেও বুক চিতিয়ে লড়াই করবে বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা এমন আশাই দেশী-বিদেশী ভক্তকুলের। এ ম্যাচে হারের ব্যবধান কি হতে পারে তা নিয়েই ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
তাই বলে হতাশায় মুখ ঘুরিয়ে রাখেনি ফুটবল দর্শকরা। পার্থের বাংলাদেশী দর্শকরা মামুনুলদের অনুশীলনে যাচ্ছেন মাঠে। আর মাঠের চারপাশে প্রবাসী বাঙ্গালীদের ভিড় মামুনুলদের ভুলিয়ে দিচ্ছে দেশের বাইরে খেলার জুজু। ফলে তারা স্পিড বাড়িয়ে আরো কঠোর অনুশীলনে মত্ত।
তারপরও বাংলাদেশ দলের জন্য মনোবল বাড়ানোর টনিক হিসেবে কাজ করবে এ ম্যাচের আগে অজিদের চারজন খেলোয়াড় দল থেকে ছিটকে পড়ে। দলটির প্রধান গোলকিপার ম্যাট রায়ান, অধিনায়ক মিলে জেডিনাক, ফরোয়ার্ড রবি ক্রুজ ও স্ট্রাইকার টমি জুরিচ মূল স্কোয়াড থেকে ছিটকে যান।
অস্ট্রেলিয়ান রক্ষণসেনা ম্যাথিউ স্পিয়ারানোভিচ মতে, ‘স্কোরলাইনের দিকে অতিরিক্ত মনোযোগী না হয়ে আমাদের উচিত বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলেই প্রত্যাশিত ফল এমনিতেই আমাদের হাতে ধরা দেবে।’
এমিলিরা দেশ ছাড়ার আগেই জানা গিয়েছিলো বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিলে জেডিনাক। তিনিও হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে ভুগছেন। অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর আগে আরো একটি সুখবর পায় তারা। শুধু জেডিনাক নয়, আরো দুই অস্ট্রেলীয় খেলোয়াড় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে পারছেন না বলে জানা যায়।
ইনজুরি থেকে সেরে না ওঠায় ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়েন অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড রবি ক্রুজ ও স্ট্রাইকার টমি জুরিচ। ক্রুজ জার্মান ক্লাব বেয়ার লেভারকুসেনের হয়ে খেলেন। আর জুরিচ খেলেন নেদারল্যান্ডসের ক্লাব রোডা জেসির হয়ে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ভালো খেলায় উপহার দেবে বাংলাদেশ টিম এমন আশায় ফুটবলপ্রেমীদের।
এর আগে বাংলাদেশ ফুটবল দল এ বছর পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে কোনো জয়ের দেখা পায়নি। ফলাফল হিসেবে যেখানে আছে দুই হারের বিপরীতে তিনটি ড্র করেছে তারা।