চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্ল্যাক ফ্রাইডে-তে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ বিক্রি

বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে কেনাকাটার উৎসবের নাম ব্ল্যাক ফ্রাইডে। প্রতি বছরের মতো এবারও ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে দোকান, মার্কেট, শপিং মল ও অনলাইনে কেনাবেচার সাইটগুলোতে প্রচুর ভিড় থাকলেও এবারের অনলাইনে বিক্রি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গড়েছে নতুন রেকর্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রেতারা এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে অনলাইনে প্রায় ৮শ’ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য ও সেবা বিক্রি করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ১৭.৯ শতাংশ বেশি বলে জানিয়েছে অ্যাডোবি অ্যানালিটিকস।

বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ডের শোরুম থেকে কেনার জন্য লোভনীয় ভাউচারও অনলাইনে বিশেষ শর্তে পাওয়া যায়, যা এই অনলাইন উৎসবের অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি অংশ।ব্ল্যাক ফ্রাইডে

বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মোট একশ’টি সবচেয়ে বড় ওয়েব রিটেইলারের লেনদেনের হিসেব বিশ্লেষণ করেছে অ্যাডোবি। তাতেই এই বিশাল অবস্থা, তাও আবার শুধু যুক্তরাষ্ট্রে। অন্যান্য দেশ, এমনকি আমেরিকার ছোট বা মাঝারি ওয়েবসাইটগুলোর হিসেব তো এখানে ধরাই হয়নি।

সিএনএন জানিয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকান ক্রেতারা অনলাইনে ৫শ’ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে কেনাকাটার পেছনে।

ডিজিটাল রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন জানায়, শুক্রবার একের পর এক পণ্য ঝড়ের বেগে বিক্রি হতে শুরু করে। শুক্রবার দিন শুরুর প্রথম পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই সাইটটি থেকে দুই লাখেরও বেশি শুধু খেলনাই বিক্রি হয়। তবে মোট কত আর্থিক মূল্যের ব্যবসা এবার হয়েছে সেই অঙ্কটা প্রকাশ করেনি অ্যামাজন।ব্ল্যাক ফ্রাইডেসোমবার আবার শুরু হতে যাচ্ছে সাইবার মানডে। এদিন অনলাইনে মূলত প্রযুক্তি সংক্রান্ত নানা ধরণের সরঞ্জাম বিক্রি হয় ব্যাপক ছাড় এবং বিশেষ অফারে। এবারের সাইবার মানডেতে ৬৬০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণ পণ্য অনলাইনে বিক্রি হবে বলে আশা করছে অ্যাডোবি। তাহলে এটি হবে মার্কিন ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি অনলাইন শপিং।

ব্ল্যাক ফ্রাইডে কী?
প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার পশ্চিমা দেশগুলোতে উদযাপিত হয় থ্যাংকসগিভিং ডে। এটি ক্রিসমাসের আগে বছরের শেষ বড় উৎসব। তাই এই দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকায় এই সময় থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাসের কেনাকাটা। তাই এই সময়টায় বেশি বেশি ডিসকাউন্ট দেন বিক্রেতারা।ব্ল্যাক ফ্রাইডে

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে প্রতিবছর চলে আসছে এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে। এই ডিসকাউন্ট উৎসব প্রথমে ছিল শুধু শুক্রবার, ২৪ ঘণ্টা। এখন বিভিন্ন শপিং মল, রিটেইলার ও অনলাইন পোর্টাল শুক্রবারের আগে শুরু করে ৩ দিন, ৪ দিন, এক সপ্তাহ, এমনকি ১০ দিনেরও ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল ঘোষণা করে।

‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামটি কবে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে তা নিশ্চিত না হলেও ১৯৬৬ সালে এর ব্যবহারের প্রথম লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায়। মূলত এমন বিশাল ছাড়ের সময় প্রথম থেকেই রাস্তাঘাট বন্ধ করে দোকানপাটের সামনে ক্রেতাদের ভিড়, পছন্দের জিনিসটি কেনার জন্য অন্য ক্রেতাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি, এমনকি হতাহতের ঘটনাও ঘটত বলে কেনাকাটা উৎসবের নামের প্রথমে এক সময় ব্ল্যাক শব্দটি যোগ হয়।ব্ল্যাক ফ্রাইডে

পশ্চিমা বিশ্বের অনুকরণে প্রতিবেশী দেশ ভারতের পর বাংলাদেশেও গত ক’বছর ধরে অনলাইনে কেনাবেচার সাইটগুলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে প্রথা শুরু করেছে। দারাজ, কাইমু, আজকের ডিলসহ ওয়েবসাইটগুলো, এমনকি সামাজিক মাধ্যম নির্ভর ব্যক্তিগত বিক্রেতারাও ব্ল্যাক ফ্রাইডে উপলক্ষে নিজ নিজ পণ্যে বিশেষ ছাড় দিচ্ছেন।