গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করবেন। ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছয়জন ব্লগার হত্যাকাণ্ডের পরে ব্লগার রাজীব হত্যার মামলার রায় হবে প্রথম রায়।
গত সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ৩-এর বিচারক সাঈদ আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারিক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
চলতি বছর ১৮ মার্চ আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান শায়খুল হাদিস মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করেন আদালত ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন। ওই আদালত থেকে গত ১১ মে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আদেশে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের প্রধান শায়খুল হাদিস মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দ্বীপ (২২), মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬), এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯), নাফির ইমতিয়াজ (২২), সাদমান ইয়াছির মাহমুদ (২০) ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)। আসামিদের মধ্যে রানা পলাতক। অপর আসামিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মাহবুবুর রহমান ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ যুক্তিতর্কে অংশ নেন।
এর আগে গত বছর ১৪ অক্টোবর মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন। ওই অভিযোগপত্রে জানানো হয়েছে, আটক আসামিরা আদালতে রাজীব হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে শুধু মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী স্বীকারোক্তিতে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করলেও অপর স্বীকারোক্তিকারী আসামিরা রাজীবকে হত্যার জন্য রাহমানী নির্দেশ দিয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুরে পলাশনগর এলাকায় ব্লগার রাজীবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ব্লগার রাজীবের পুরো নাম আহমেদ রাজীব হায়দার, তিনি ‘থাবাবাবা’ নামে ব্লগ লিখতেন। তিনি পেশায় একজন স্থপতি ছিলেন।