২৯ মার্চই নিশ্চিত হয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে ব্রিটেন থাকবে, কি থাকবে না। ইইউ থেকে ব্রিটেনের এই বেরিয়ে যাওয়াকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট। সেই ব্রেক্সিট ইস্যুতেই আবার রিয়াল মাদ্রিদে গ্যারেথ বেলের ভাগ্যটাও গেছে ঝুলে!
২০১৬ সালে এক গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে রায় দেয় ব্রিটেনের জনগণ। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ওই ভোট যুক্তরাজ্যের উপর বিশাল এক প্রভাব ফেলে। ইইউর সঙ্গে ‘কোনো আপোষ’ নয়, এই হচ্ছে ব্রিটেনের ৫১ শতাংশ জনগণের দাবি!
জাতিতে ইংলিশ নন বেল। কিন্তু মাতৃভূমি ওয়েলস ব্রিটেনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কপাল পুড়তে পারে ২৯ বছর বয়সী ফুটবল তারকার। ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হলে তড়িৎ দেশে ফিরতে হবে ইইউ-ভুক্ত দেশগুলোতে ছড়িয়ে থাকা আট লাখ ব্রিটিশকে, যার মধ্যে আছেন বেলও।
ব্রেক্সিট কার্যকর হলে সেই দেশগুলোতে চাকরি কিংবা ব্যবসা করার অধিকার হারাবেন ব্রিটিশরা। এতদিন বিনা ভিসা সুবিধায় ইইউর বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন এই আট লাখ জনগণ। এতদিন অ-ইউরোপীয় নাগরিকরা যেসব সুবিধা পেতেন, ব্রেক্সিটের কারণে ব্রিটেনের জনগণের সঙ্গেও করা হবে তেমন আচরণ!
তবে ২০১৮ সালের নভেম্বরে গৃহীত এক চুক্তির কারণে চাকরি বেঁচেও যেতে পারে এই আট লাখ জনগণের। ইএসপিএন এফসিকে এমনটাই জানিয়েছে মাদ্রিদের ব্রিটিশ দূতাবাস। পাশাপাশি মঙ্গলবার ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তিটি নাকচ করে দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ২৩০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ এমপিরা।
ওই দুই কারণে সুতোর উপর ঝুলে আছে রিয়ালে বেলের থাকা, না থাকা। ওয়েলস ফরোয়ার্ডের এজেন্ট জোনাথন বার্নেট ইএসপিএনকে জানিয়েছেন, তারা ‘পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন। বেল ও বার্নেট দুজনেই আশাবাদী যে ব্রেক্সিট কার্যকর হলেও যেন ইইউতে বাস করা ব্রিটিশদের বিষয়টিও নজরে রাখা হয়।
উল্লেখ্য যে, স্পেনে প্রায় তিন লাখ ব্রিটিশ জনগণের বাস। এরমধ্যে আছেন জিরোনায় খেলা ইংলিশ ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক রবার্টসও।