করোনা পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ব্রিটেন ভ্রমণের ‘লাল তালিকা’ থেকে বাংলাদেশের নাম কাটছে না ব্রিটিশ সরকার।
চ্যানেল আইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন জানিয়েছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মোটেই রাজনৈতিক নয় বরং বিজ্ঞান আর তথ্যভিত্তিক। সরাসরি বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিতে না পারলেও বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশকে ভ্রমণের ‘লাল তালিকাভুক্ত’ করে যুক্তরাজ্য। গত ক’দিন ধরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সেই তালিকা থেকে নাম তুলে নিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক র্যাবকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার লন্ডনে দুই দেশের চতুর্থ কৌশলগত-সংলাপেও একই অনুরোধ জানায় ঢাকা। কিন্তু এখনই যে সবুজ সঙ্কেত মিলছে না, সেটাই স্পষ্ট করলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, লাল তালিকা আসলে তথ্য ও বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা যেমন দেখা হয় তেমনি ট্রেন্ড বা কোন ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছে সেটাও দেখা হয়। আমরা গভীরভাবে গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভালো হলে রেড লিস্ট থেকে নাম উঠে যাবে। এটা মোটেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয় বরং তথ্য বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত।
ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বাংলাদেশের জন্য তা বরাদ্দ দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন ডিকসন।
তিনি বলেন, আসলে বৈশ্বিক জোট কোভ্যাক্সের আওতায় সহযোগিতা করতে গিয়ে দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব হয়নি। তার মানে এই নয় যে, আমরা কিছুই করছি না। বরং কোভ্যাক্সের আওতায় ঠিকই ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। আশা করছি সরাসরিও ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।
ব্রিটিশদের পাশাপাশি ভ্রমণকারীদের জীবনের নিরাপত্তাকেও সমান প্রাধান্য দেয় বলেই ব্রিটেনের লাল-তালিকায় এমন কড়াকড়ি বললেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন।
ভিডিও রিপোর্ট: