চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন প্রকাশ করলেন সেই নারী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন কথিত মার্কিন ব্যবসায়ী জেনিফার আরকিউরি। তিনি বলেছেন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী তার হৃদয় ভেঙে দিয়েছেন। এতে আমি ভগ্ন হৃদয়ে চরমভাবে অপমানিত।

জেনিফার বলেন: জনসন আমার সাথে এক রাতের যাত্রীর মতো আচরণ করে একপাশে ফেলে দিয়েছেন। এতে আমার হৃদয় ভেঙে গেছে এবং চরমভাবে অপমানিত।

রোববার দেওয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকারে তিনি সরাসরি জনসনকে সম্বোধন ধরে আইটিভি এক্সপোজার প্রোগ্রামকে বলেন: অলস, নিষ্কর্মাদের মতো তুমি আমাকে যেভাবে ফেলে দিয়েছো, তাতে আমি ভীষণ মন খারাপ করে আছি। আমি জানি না তুমি আমাকে কেন রেখেছিলে এবং আবার এড়িয়ে গেলে! যেন আমি কোনো ক্ষণিকের বাসিন্দা, যেন আমি এমন কেউ যে, যাকে তুমি বারে নিয়ে আসলে আমোদ করার জন্য। কিন্তু তুমি জানতে, আমি তেমনটা ছিলাম না।

তিনি বলেন: ‘আমি এতোটাই হতাশ ও অপমানিত হয়েছি যে, যা মানা কঠিন।’

জনসন ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পযন্ত লন্ডনের মেয়র ছিলেন। আগামী মাসে প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনের জন্য ডাউনিং স্ট্রিটে পাঁচ বছরের মেয়াদে লড়াই করছেন তিনি। এ নিয়ে তুমুল নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত।

প্রধানমন্ত্রী অবশ্য আরকিউরির বিষয়টিকে অন্যভাবে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আরকিউরি সাথে তার এমন কোনো সম্পর্ক নেই, যা বলা হচ্ছে।

তবে অভিযোগ আছে, লন্ডনের মেয়র থাকাকালীন জেনিফারকে মেয়রের নেতৃত্বে তিনটি বিদেশি বাণিজ্য মিশনের মাধ্যমে ১২৬,০০০ পাউন্ড তথা ১৬৩,০০০ ডলার বা ১৪৭,০০০ ইউরো দেওয়া হয়েছিলো। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তা সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করা হয়েছিলো।

পরে অবশ্য জনসনের নিজস্ব সরকার পযালোচনা করে রায় দেয়, সাইবার দক্ষতা তহবিলের মাধ্যমে ডিজিটাল সংস্কৃতি, মিডিয়া এবং ক্রীড়া বিভাগ দ্বারা আরকিউরিকে ১ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়া হয়েছিল।

কনজারভেটিভ পার্টির একজন মুখপাত্র বলেছেন: অফিসে অনাচারের কোনো দাবি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সব কিছু নিয়ম অনুযায়ীই হয়েছিল।

তিনি আরও যোগ করেছেন: আমরা এগুলো লেবার পার্টি থেকে উদ্বেগজনক এবং রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আক্রমণ বলে বিবেচনা করি।

বরিস জনসনের এই কথিত বান্ধবী জেনিফার আরকিউরি একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী। তার একটি তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আছে। বরিস জনসন এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্ন আর্থিক অনুদান দেয়া এবং জেনিফার আরকিউরিকে সরকারি খরচে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে নিয়ে যেতে তার অফিসকে ব্যবহার করেন, এমন অভিযোগ আছে।

সরকারের একটি উর্ধ্বতন সূত্র বলছে, এই অভিযোগটি এমন এক সময় তোলা হচ্ছে, যখন কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এটি যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা স্পষ্ট।