শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম এবং এরপর একাত্তরে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর আসে চূড়ান্ত বিজয়। বিজয়ের সেই পথে আছে আত্মত্যাগ ও গৌরবের এক মহান ইতিহাস।
গৌরবের সেই মহান ইতিহাসে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু অংশ ২ এবং কিছু অংশ ৩ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা।
সীমান্তের ওপার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গেরিলা বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে দেশের ভেতরে প্রবেশ করে। মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাসই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত হয় সম্মুখ যুদ্ধ। ডিসেম্বরে ওই যুদ্ধ রূপ নেয় চূড়ান্ত পর্যায়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গাসাগর, আখাউড়া ও কসবার বিভিন্ন জায়গায় এখনো মিলবে শহীদদের স্মৃতি। আখাউড়ার গঙ্গাসাগরে একটি গণকবর রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় সেখানে বাঙালিদের ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী।
গঙ্গাসাগর থেকে কসবার কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধের দূরত্ব ঘণ্টাখানেকের। কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৫০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশপাশের এলাকায় যারা যুদ্ধে শহীদ হন তাদের এখানে কবর দেওয়া হতো। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এর রক্ষণাবেক্ষণ করছেন মুক্তিযোদ্ধা এম এ করিম।
তিনি বলেন: বঙ্গবন্ধু ডাক দিয়েছিলেন, সেই ডাকে সারা দিয়ে আমি চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যুদ্ধে যোগদান করি। আমাদের সিইও ছিলেন ক্যাপ্টেন গাফফার। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করেছি। আমাদের সোর্স ছিল। যখন সংবাদ পেতাম পাক সেনারা আনাগোনা করছে, তখনই অপারেশন চালাতাম।
২ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ১১ শ’ ৫০ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর এক জায়গায় করে একটি ‘ওয়ার সেমেট্রি’ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এম এ করিম।
নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অংশ বিশেষ, ফরিদপুর এবং ঢাকার অংশবিশেষ মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: