কোপা আমেরিকার শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে আসর থেকে ছিটকে পড়েছে নেইমারবিহীন ব্রাজিল। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। ২০১১ সালের আসরেও এই প্যারাগুয়ের কাছে ট্রাইবেকারে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিলো নেইমারদের।
দুঙ্গার দলের বিদায়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিতিই থেকে গেল ফুটবলবিশ্ব। ১ জুলাই সেমিফাইনালে প্যারাগুয়ের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়াকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে শেষ চারে উঠা আর্জেন্টিনা।
সেমিফাইনালে ওঠার শেষ লড়াইয়ের দুই প্রতিপক্ষ নেইমারবিহীন ব্রাজিল এবং আসরের জায়ান্ট কিলার প্যারাগুয়ে। নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় পড়ে আসর থেকেই ছিটকে পড়ায় নেইমারবিহীন হলেও ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রাজিলীয় ছন্দ। দ্বিতীয় মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া কূটিনহোর দুর্দান্ত শটেই এগিয়ে যেতে পারতো ব্রাজিল। হয়নি প্যারাগুইয়ান কিপারের দুর্দান্ত সেভের কারণে।
শুরুর আধিপত্যের সফলতা ব্রাজিল পায় ম্যাচের ১৫ মিনিটে। ব্রাজিলের বার্সা স্টার দানি আলভেজের দারুন পাসে বল পেয়ে রবিনহোর পারফ্যাক্ট প্লেসিং। নেইমারের নিষেধাজ্ঞার সুযোগে দেশের হয়ে ৯৯তম ম্যাচে অংশ নেয়ার সুযোগের শতভাগ কাজে লাগান রবিনহো। প্রতিদান দেন তার ওপর কোচের আস্থার।
প্যারাগুয়ের সুযোগ আসে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। তবে ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার জেফারসনে সে যাত্রায় রক্ষা পেলেও ৭ মিনিট পর সেলেসাও ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার হাতে বল লাগায় রেফারির প্যানাল্টি সিদ্ধান্তে লিড হারায় ব্রাজিল। স্পটকিকে প্যারাগুয়ের হয়ে সমতা ফেরানো গোলটি করেন দারলিস গঞ্জালেস।
কাউন্টার অ্যাটাকে ভয়ঙ্কর প্যারাগুয়ের ৭৯ মিনিটের আক্রমন সফল হয়নি ব্রাজিলিয়ান কিপার জেফারসনের দক্ষতায়। নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় কোপার নিয়মে অতিরিক্ত সময় ছাড়াই ম্যাচ গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে।
পেনাল্টি শুটে সেলেসাওদের হয়ে রিবেইরো এবং ডগলাস কস্টার মিসের মাশুল গুনেছে ব্রাজিল। ৪-৩ গোলের জয়ে শেষ চার নিশ্চিত হয় প্যারাগুয়ের, ছিটকে পড়া নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের সঙ্গে ফুটবলভক্তরাও সুযোগ হারালো সেমিফাইনালেই সুপার ক্ল্যাসিকো খ্যাত আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের ধুন্ধুমার ফুটবল লড়াই উপভোগের।