ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ট্র্যাক্টর র্যালি ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েও কৃষকদের থামাতে পারেনি। র্যালি শুরুর আগেই ভোরে তারা ব্যারিকেড ভেঙে দিল্লীতে ঢুকে পড়ে।
এনডিটিভি জানায়, কৃষকদের থামাতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান চালাতে হয়। উভয় পক্ষের অনঢ় অবস্থানে অনেকে আহত হয়েছেন। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পর শুরু করার অনুমতি ছিলো কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালির। কিন্তু ভোর থেকেই দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে হাজারো কৃষক। সকাল ৮টা নাগাদ সিংঘু এবং তিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যায় কৃষকরা। সেখানে ৫ হাজারের অধিক কৃষকের উপস্থিতি ছিলো।
কর্মকর্তারা জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কৃষকদের বুঝিয়ে থামানোর চেষ্টা করেন। তাদেরকে কুচকাওয়াজ শেষে র্যালি করতে বলা হয়। কিন্তু কর্ণপাত করেনি তারা।
বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ র্যালি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করেছে। তারা তা ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক সংগঠনের সভাপতি সতনম সিং পান্নু বলেছেন, পুলিশের নির্ধারিত রুট মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। আউটার রিং রোডে আমরা ট্র্যাক্টর মিছিল করবো।।ব্যারিকেেড সরিয়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে ৪৫ মিনিট সময় দেয়া হয়েছিলো।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে কৃষকদের ট্র্যাক্টর র্যালি থামাতে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ভোর থেকে আইটিও, যমুনা ব্রিজ-সহ নয়াদিল্লির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ।
বেশ কয়েক মাস ধরে নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে ভারতের কৃষক আন্দোলন। সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকেও আসেনি কোনো সমাধান।