সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৪১ শতাংশ কমলেও আপাততঃ গ্রাহকরা কোনো সুফল পাচ্ছেন না। খুচরা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার ফল হিসেবে এই সুফল পেতে গ্রাহকদের কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। তবে তখনও ইন্টারনেট খরচ কমার হার পাঁচ শতাংশের বেশি হবে না।
যুক্তি হিসেবে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) এবং মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছে, ইন্টারনেট সুবিধা দিতে তাদের যে মোট খরচ সেখানে ব্যান্ডউইথের জন্য সর্বোচ্চ ব্যয় হয় ২০ শতাংশ।
‘এখন মোট খরচের ২০ শতাংশের মধ্যে যদি ৪১ শতাংশ দাম কমে, সেটা মোট দামে বড় প্রভাব ফেলবে না,’ বলে জানিয়েছেন একটি আইএসপির শীর্ষ এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ৪১ শতাংশ দাম কমছে শুনলে মনে হবে বিশাল খরচ কমছে। ‘কিন্তু, প্রকৃত ঘটনা তা নয়। ব্যান্ডউইথের জন্য আমাদের খরচ হয় মোট ব্যয়ের মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। তাই ব্যান্ডউইথের দাম কমলেই যে ইন্টারনেট ডাটার দামও অনেক কমে যাবে, বিষয়টা তা নয়,’ বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড আজ সোমবার প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৪৪৩ টাকা ঠিক করার কথা জানিয়েছে।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, আগে এক এমবিপিএসের দাম ছিল ১,০৬৮ টাকা। এখন তা ৬২৫ টাকায় পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে এই সুবিধা পাবে। পরে ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন এন্ড ট্রান্সমিশন নেটওর্য়াকের মাধম্যে সারাদেশেই ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে।
মনোয়ার হোসেন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে কর্মসূচি চলছে তাতে কমদামে ইন্টারনেট প্রাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। সেখানে প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ বিক্রি হবে ৭৮৩ টাকায়।
সেপ্টেম্বরের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে রপ্তানি শুরু হবে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আশা করছে।