ডু প্লেসিস-ডেলপোর্টের ব্যাটিং ঝড়ের পর বল হাতে নাহিদুলের ঘূর্ণি ও মোস্তাফিজের তোপে কুপোকাত চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শীর্ষে থেকে বন্দরনগরীতে যাওয়া দলটিকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিয়ে একনম্বরে উঠে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে বলে এসে দুই প্রোটিয়ার তোপের মুখে পড়ে চট্টগ্রাম। কুমিল্লা ১৮৩ রানের সংগ্রহ গড়ার পর বল হাতেও দাপট দেখায়। চট্টগ্রামকে ঘরের মাঠে ৫২ রানে হারিয়েছে ভিক্টোরিয়ানসরা, আসরে তাদের তৃতীয় জয়।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শুরুতে সাকিবের বরিশালকে হারানোর পর মিরপুরে সিলেটকেও হারের স্বাদ দেয় কুমিল্লা। চট্টগ্রাম পর্বেও জয়ে শুরু করল দলটি। তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে ৬ পয়েন্টে শীর্ষে উঠল ইমরুল কায়েসের দল। ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে চট্টগ্রাম।
ব্যাটিংয়ে নেমে বাজে শুরু পায় কুমিল্লা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নাসুমের ঘূর্ণিতে কুপোকাত হন মাহমুদুল হাসান জয় (১)। শুরুর ধাক্কা সামলে দুর্দান্ত জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি।
ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন তিনে নামা ফ্যাফ ডু প্লেসিস। ৩৪ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন লিটন। ড্যাশিং ওপেনার ইনিংস সাজান ৫ চার ও ১ ছক্কায়।
জুটি ভাঙার পর আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের কবলে পড়েন ডু প্লেসিস। সে যাত্রায় রক্ষা পান রিভিউ নিয়ে। পরে একাই টানেন কুমিল্লার ইনিংস। ৫৫ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কার ম্যাচসেরা ইনিংস তার।
শেষদিকে সংগ্রহ ১৮৩ রানে নিয়ে যান ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ২৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ চারে সাজান ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস।
ডেলপোর্ট ঝড়ের আগ পর্যন্ত চট্টগ্রামের বোলাররা দারুণ ছন্দে ছিলেন। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে অফস্পিনার নাসুম নিয়েছেন দুটি উইকেট। কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়েছেন বেনি হাওয়েল।
জবাবে কুমিল্লার পেসার মোস্তাফিজ ও অফস্পিনার নাহিদুলের তোপে পড়ে চট্টগ্রাম। দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারানো দলটি পঞ্চাশ রান পার করতেই হারায় চার টপঅর্ডারকে।
ওপেনার কেনার লুইস ও মিডলে আফিফ হোসেন এদিন ব্যর্থ হন। দুজনেরই ইনিংস থামে ৪ রানে। সাব্বির রহমানও বেশিদূর এগোতে পারেননি। থেমেছেন একটি চারের মারে ৫ রান করে।
একপাশে যখন নাহিদুল-মোস্তাফিজদের ধ্বংসযজ্ঞ চলছিল, অন্যপাশে খুঁটি হয়ে থাকেন উইল জ্যাক। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসা জ্যাক অষ্টম উইকেট হিসেবে ফেরার আগে করে যান ৬৯ রান। ৪২ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংস।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন নাহিদুল ইসলাম। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান খরচায় অফস্পিনার ফিরিয়েছেন ৩ ব্যাটারকে। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মোস্তাফিজ, তানভীর ও শহিদুল ইসলাম।