শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সুযোগ হাতছাড়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশ দলের মাঝে। মাঠের খেলায় দেখা গেল না তার ছিটেফোঁটাও। ব্যাটে-বলে অসহায় আত্মসমর্পণে ৮ উইকেটে ইংল্যান্ডের কাছে হারলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংলিশ দাপটে স্রেফ উড়ে গেছে টিম টাইগার্স। ১২৫ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড টপকে যায় ১৪.১ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
জয়ের খুব কাছে গিয়ে আউট হন ওপেনার জেসন রয়। ৩৮ বলে খেলেন ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। মারেন পাঁচটি চার ও তিনটি ছয়। শরিফুল ইসলামের বলে থার্ডম্যানে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন। ইংলিশরা জয় থেকে তখন মাত্র ১৩ রান দূরে।
ডেভিড মালান ২৮ ও জনি বেয়ারস্টো ৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। সহজ জয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকল ইয়ন মরগানের দল। প্রথম ম্যাচে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ৬ উইকেটে।
সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের প্রথম আঘাত হানেন নাসুম আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনার ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ফেরান জস বাটলারকে (১৮)। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ৩৯ রান।
আবুধাবির উইকেটের আচরণ দেখে মনে হয়নি বোলারদের জন্য তেমন সুবিধা আছে। এমন উইকেটে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ১২৪ রান। শেষে নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে বলের চেয়ে বেশি রান জমা হয়।
বাংলাদেশ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান আসে ১৯তম ওভারে। আদিল রশিদের করা ওভারটিতে ১৭ রান আসে। নাসুম দুটি ছয় ও একটি চার মারেন লেগ স্পিনারকে। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ১৯ রানে ফেরেন এ বাঁহাতি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। টপঅর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটার পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৯ রান।
এমনিতেই দলের ব্যাটিং ভালো হচ্ছিল না, তার মাঝ আক্ষেপ বাড়ায় আফিফ হোসেন ধ্রুবর রানআউট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ রানের কল করেছিলেন। তাতে সাড়া দিতে গিয়ে আফিফ হন রানআউট। বলের দিকে তাকিয়ে দৌড় দিয়ে পরে আর ফিরে আসতে পারেননি।
প্রথম ওভারে মঈন আলীর স্পিনে ব্যাক-টু-ব্যাক বাউন্ডারিতে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। ইংলিশ অফস্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে ফিরতে হয় লিটনকে (৯)। পরের বলে বাজে শটে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম শেখও (৫)।
১৪ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। শুরুর চাপ থেকে আর বের হতে পারেনি টাইগাররা। মুশফিকের সামনে সুযোগ ছিল, কিন্তু রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিসর্জন দেন নিজের উইকেট।
টাইমাল মিলস তিনটি, মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টন নেন দুটি করে উইকেট। ক্রিস ওকস নেন একটি উইকেট।