জাতীয় লিগের প্রথম চার রাউন্ডে ছিল বৃষ্টির হানা। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি সেভাবে। পঞ্চম রাউন্ডে রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়ায় ও শুকনো উইকেট পেয়ে ব্যাটসম্যানরা ছুটিয়েছেন রানের ফোয়ারা। সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি, নার্ভাস নাইনটিজের দিনে বল হাতে ব্যতিক্রম এনামুল হক জুনিয়র। সিলেটের হয়ে ঢাকা মেট্রোর ৮ উইকেটের মধ্যে ৫টিই তুলে নিয়েছেন এ বাঁহাতি স্পিনার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইমতিয়াজ হোসেনের সেঞ্চুরিতে (১৩২) সিলেট প্রথম ইনিংসে করে ৩১৯ রান। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে মেট্রোর সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২১৯। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন দলের অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। ১০ চারের সাহায্যে ৯৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এনামুলের বলে অলক কাপালির হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৪০ রান আসে মোহাম্মদ আশরাফুলের ব্যাটে।
খুলনায় রংপুরের হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন নাঈম ইসলাম। ১২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসটি থেমেছে ২১৬ রানে। এটিই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ডাবল সেঞ্চুরির মাইফলক স্পর্শ করেন ৩৪১ বলে। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৩৪৯ বলে ২১৬ রান করে। ৫১০ মিনিট উইকেটে কাটিয়ে ইনিংসটি সাজান ২৩টি চার ও ৫টি ছক্কায়।
নাঈমের ব্যাটে চড়ে রানের পাহাড়ে চড়েছে রংপুর। ৮ উইকেটে ৫৬০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা। বড় সংগ্রহে গড়তে ১৪৫ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন আরিফুল হক।
জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৪ রান তুলেছে ঢাকা বিভাগ।
রাজশাহীতে বরিশালের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে খুলনা। ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ১১৪ রানের ইনিংস খেলার পর জিয়াউর রহমান খেলেছেন ১৫২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫১১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বরিশাল। ৯৪ রান তুলতে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট।
বগুড়ায় চট্টগ্রামের করা ২৬০ রানের জবাবে ভাল অবস্থানে আছে রাজশাহী। মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরিতে (১০২) ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রান তুলেছে রাজশাহী। চট্টগ্রামের চেয়ে ৩১ রানে পিছিয়ে তারা। হাতে আছে ৫ উইকেট।