ব্যাগিং পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষ করে সফল হয়েছেন মাগুরার শিবরামপুরের চাষি শেখ দিদার হোসেন। এ বছর দুই বিঘা জমিতে থাই পেয়ারার বাগান রয়েছে তার। দু’লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রির আশা করছেন তিনি।
এ বছর প্রায় পাঁচ একর জমিতে পেয়ারা চাষ করেছেন শিবরামপুরের শেখ দিদার। এর মধ্যে দুই বিঘায় করেছেন ব্যাগিং পদ্ধতির ব্যবহার। ব্যাগিং পদ্ধতির সুবিধা, পেয়ারায় পোকার আক্রমন হয় না। বিষমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত ফলন হওয়ায় বাজারে দামও পাওয়া যায় ভালো।
শেখ দিদার হোসেন বলেন, ব্যাগিং পদ্ধতির প্রধান কারণ হল ফলটা সম্পূর্ণ বিষমুক্ত থাকে। ফরমালিন মুক্ত, বিষমুক্ত পেয়ারা উৎপাদনের কারণে ব্যাগিং পদ্ধতি করছি। ফলটি বিষমুক্ত করার কারণে বাজারে চাহিদা ভালো এবং দামটাও খুব ভালো পাওয়া যায়। ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতি বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষে কৃষকের খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় প্রায় এক লাখ টাকায়।
কৃষি বিভাগের হিসেবে জেলায় এবার ছোটবড় দুই শতাধিক পেয়ারা বাগান রয়েছে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তরের উপ-পরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, পাঁজাতের যে পেয়ারা রয়েছে তার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এটা খুব লাভজনক। তাই অনেক কৃষক বিষমুক্ত পেয়ারা ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদন করছে। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগামীতে পেয়ারাসহ অন্যান্য ফলে ব্যাগিং পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।