১২তম ব্যাংগালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশ নিতে যাচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক আশরাফ শিশির নির্মিত চলচ্চিত্র “আমরা একটা সিনেমা বানাবো”।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত ভারতে কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী ব্যাংগালুরুতে অনুষ্ঠিতব্য এই উৎসবে ৬০টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, কান্তিরাভা ইনডোর স্টেডিয়ামে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস জেদিরাপ্পা।
স্থানীয় চলচ্চিত্র একাডেমির মারফত প্রতিবছর এ আয়োজন করে থাকে কর্ণাটক রাজ্য সরকার। এবারে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম প্রডিউসার’স এসোসিয়েশন এর ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর ফ্লোরেন্স গিরোট সহ এই উৎসবে যোগ দিচ্ছেন প্রায় ১০,০০০ দেশী-বিদেশী ডেলিগেট। নেটপ্যাক জুরি বোর্ডের আওতায় এশিয়ান সিনেমা সেকশনে “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” লড়াই করবে ১১টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে।
ব্যাংগালুরুর রাজাজীনগরে বিখ্যাত ওরিয়ন মলে অবস্থিত পিভিআর সিনেমার ১১টি প্রেক্ষাগৃহে এক যোগে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রগুলো, এর মধ্যে “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” প্রদর্শিত হবে ৩ বার। ৪ মার্চ কর্ণাটক রাজ্যসভা ভবন “বিধান সৌধ”তে এ উৎসবের বর্ণাঢ্য সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত উৎসবে সরাসরি যোগ দেবেন নির্মাতা আশরাফ শিশির। উল্লেখ্য, “আমরা একটা সিনেমা বানাবো” ইতিমধ্যে হংকং, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, কলম্বিয়া, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার ১০টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।
সম্পূর্ণ সাদাকালোয় নির্মিত চলচ্চিত্রটির কাহিনী গড়ে উঠেছে এমন এক জনপদকে ঘিরে, যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে কয়েকজন নিষ্পাপ মানুষের সিনেমা নিয়ে বিপ্লবী হয়ে ওঠা এবং স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প। এ বিষয়ে পরিচালক বলেন, তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট একটি দেশের ছোট্ট একটি শহরে আমাদের যে জীবন, তা ভীষণ সাদাকালো। আমরা যে স্বপ্নটুকু দেখি তা কিছুটা রঙ্গিন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ মূলত: নিষ্পাপ, শুধুমাত্র পরিস্থিতি- পারিপার্শ্বিকতার কারণে তারা অনেক অন্যায় করতে বাধ্য হয়। সিনেমা বানানোর বিপ্লবের পাশাপাশি এখানে এমন এক নিষ্পাপ মানুষের গল্প রয়েছে, যে জীবনে একটি পিঁপড়াকেও হত্যা করেনি, অথচ ছবির শেষে সে একজনকে খুন করে ফেলে এমন এক নারীর জন্য যাকে সে কোনদিনও দেখেনি।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুমনা সোমা, স্বাধীন খসরু, মাসুম আজিজ,আয়শা মুক্তি, প্রাণ রায়,তেরেসা চৈতি, , এলিনা শাম্মী, অরণ্য রানা, দুখু সুমন, জান্নাত সোমা, ইমরান, স্মরণ , সৈকত, ইয়াসিন, টিটো, সানসি, অর্নব খান, সাচ্চু, লিজা, মানিক, সজীব, নুপুর, সুজয়, রাব্বী, উজ্জ্বল,দীপ, সাদ্দাম,তুয়া, তুর্য, মাঈশা, মিমো, সুপ্ত, বিশাল, মিন্টু, মানিক, লিটন, শুভ, অলক, ভাস্কর, সম্রাট, আজাদ সহ চার হাজার শিল্পী। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাফায়েত নেওয়াজ ও সম্পাদনা করেছেন সাব্বির মাহমুদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন মোহম্মদ আশরাফুল, সমর ঢালী ও সাব্বির। প্রধান শিল্প নির্দেশক সলিল মজুমদার।