ব্যাংকিং মেলা ব্যাংকিং খাতের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। তারা বলছেন, এমন আয়োজনে ব্যাংকের সঙ্গে মানুষের সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। দেশের উন্নয়নে কাউকে পেছনে ফেলে নয়, বরং দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার চেষ্টা করছে ব্যাংকগুলো।
একটা সময় ছিলো যখন ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহককে ব্যাংকের কাছে যেতে হতো। এখন ব্যাংকই যাচ্ছে মানুষের দোরগোড়ায়। বাংলাদেশ ব্যাংক এর আয়োজনে প্রথম ব্যাংকিং মেলায় অংশ নেয় দেশী-বিদেশী ৫৬টি ব্যাংকসহ ৮০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৫দিনের মেলায় তরুণ উদ্যোক্তা এবং দর্শনার্থীসহ ৪৭ হাজার মানুষের সমাগম হয়।
এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা বুঝতে পেরেছি যে গ্রাহকরা কি চাচ্ছে। তাদের চাওয়া আলোকেই আমরা আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো।
মধুমতি ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শাহিন হাওলাদার বলে, বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করার জন্য এই মেলা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পেরেছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যস্থাপনা পরিচালক এম এ ইউসুফ বলেন, সব ব্যাংকগুলো যখন একটা মেলায় আসে, তখন গ্রাহকের জানার পরিধি অনেক বাড়ে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে তুলনা করতে তার জন্য সুবিধে হয়। এই মেলার উদ্দেশ্য শতভাগ সফল হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের তুলনামূলক বিশ্লেষণে সুযোগ করে দেয় এ মেলা। এক্সিম ব্যাংক স্পন্সর পরিচালক মো. হাবিব উল্লাহ্ ডন বলেন, মেলায় এসে ব্যবসায়ীরা প্রত্যেক ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন সুদের হারটা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসার। গ্রাহকের দাবি ও তাদের সঙ্গে সরাসির কথা বলার একটা সুযোগ হয়েছে এই মেলার মাধ্যমে।
শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, উদ্যোগের শতভাগ সফলতার জন্য বিভাগীয় ও জেলা শহর এমনকি গ্রাম পর্যন্ত এ ধরনের আয়োজন বছরে দু’বার করার পরামর্শ ব্যাংকারদের।